বিএনএ, যশোর : যশোরের শার্শা উপজেলায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত একটি মাদরাসার ছাত্রী ও শিক্ষকদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগে সেখানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শার্শার নাভারন এলাকায় ফতেমাতুজ জোহরা কওমী মাদ্রাসায় বুধবার পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়।
তবে, মাদরাসার সুপারের দাবি নিরাপত্তার জন্য ১৪টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন, পুলিশের কাছে একজন অভিভাবক সিসি ক্যামেরা নিয়ে অভিযোগ জানান।
“সেই অভিযোগের সূত্র ধরে মাদরাসাটিতে গিয়ে নারী পুলিশ সদস্যরা ছাত্রীদের থাকার জায়গায় সিসি ক্যামেরা দেখতে পান। পরে হার্ডডিস্কটি নিয়ে আসা হয়,” যোগ করেন তিনি।
অবশ্য, মাদ্রাসার সুপার মুফতি আবু তাহের বলছেন, মাদ্রাসায় যে ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম চলে সেটিই থাকার ঘর হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর আগে অনেক চুরির নালিশ আসায় তারা সিসি ক্যামেরা বসান।
কোনো আপত্তিকর ছবি ধারণ করার উদ্দেশ্যে সেগুলো লাগানো হয়নি বলে দাবি তার।
“সিসি ক্যামেরা আমার রুমেও আছে। ক্যামেরা বিষয়টা সবাই জানতো। আর ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করতেন প্রধান শিক্ষিকা,” বলেন তাহের।
এদিকে হার্ডডিস্কের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা পুলিশের নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান।
সিসি ক্যামেরাগুলো নাইট ভিশন প্রযুক্তির বলে জানান তিনি।
“এখনো কোনো হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি। তবে, মেয়েদের খাওয়া-ঘুমের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ভিডিও রয়েছে সেখানে। কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এভাবে লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই,” যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মাদরাসাটিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তবে কতজন আবাসিক থাকে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি মাদরাসা সুপার।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।