26 C
আবহাওয়া
৮:১৩ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৩, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » যারা কর্মসংস্থান করছেন তারা রিয়েল হিরো: এনবিআর চেয়ারম্যান

যারা কর্মসংস্থান করছেন তারা রিয়েল হিরো: এনবিআর চেয়ারম্যান

যারা কর্মসংস্থান করছেন তারা রিয়েল হিরো: এনবিআর চেয়ারম্যান

বিএনএ, চট্টগ্রাম: যারা ব্যবসা বাণিজ্য করছেন, দেশের জন্য কর্মসংস্থান করছেন তারা রিয়েল হিরো বলে মন্তব্য করেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ১৫ লাখ মানুষকে চাকরি দিয়েছে। বাকি চাকরি বেসরকারি খাতে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন অনিয়ম হওয়ায় জটিল হয়েছে। দফায় দফায় জীবন দিতে হয় এমন জাতি কম আছে। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। আমরা দেশকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। বড় বড় ভুল শুধরে নিতে হবে।

সহজীকরণের নামে আরও কঠিন করে ফেলছি। অটোমেশনে অনেকে আসতে চাইছে না। এবার অনলাইনে আয়করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ১৫ লাখ ৩০ হাজার অনলাইন রিটার্ন পেয়েছি। বন্ডে ব্যাপক সমস্যা আছে। আমরা পুরোপুরি অটোমেশন করতে চাই। কাউকে সরকারি অফিসে যেতে হবে না। নতুন জুতো পরলে পায়ে সমস্যা হবে, পরে ঠিক হয়ে যায়। তাইলে জুতো কিনলেন কেন।
ভ্যাটের রিটার্ন ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে দেব। অনলাইনে দিলে সিল আনার পদ্ধতি বাতিল করেছি। ভ্যাট ও আয়করে অডিট সিলেকশনে ব্যক্তি জড়িত থাকবে না। কেউ প্রতারণা করতে পারবে না।

তিনি বলেন, কর প্রদান অনেক সহজ। কর দিতে কোনো ব্যাংকে যেতে হয় না। সরকারি কোষাগারে টাকা জমা সরাসরি হওয়া উচিত। ১৯৯১ সালে ভ্যাট চালু হয় তখন যে মূল শক্তি ছিল তা কেটে দেওয়া হয়েছিল।

দেশের উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আহরণের চাপ বাড়ছে। জনগণের দাবি সঠিক জায়গায় ব্যয় করা। প্রান্তিক জনগণের কাছে সরকারের সেবা পৌঁছাতে পেরেছি। দেশটা পরিবারের মতো। আমাদের যৌক্তিকভাবে কর বাড়াতে হবে। বাজেট লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে এবার তেমনটি হবে না। সিগনিফিকেন্ট বাজেট হবে। রিফান্ড দেওয়া নেওয়ার মধ্যে হয়রানি আছে। আমরা এটা অটোমেশন করতে চাই।

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, চেম্বারের সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

চেম্বারের পক্ষ থেকে এনবিআরকে আয়কর বিষয়ে ১৯টি, ভ্যাটের ওপর ৪০টি ও শুল্ক সংক্রান্ত ৫৫টি প্রস্তাব দেন তিনি।

মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, টেক্সটাইল মিলকে সহযোগিতা করতে হবে। কনটেইনার ডিপোতে ক্রেন আনি ৮ কোটি টাকা। এটা করমুক্ত করার প্রস্তাব করছি। শেয়ার বাজার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ বাজারকে স্ট্রং করতে হবে। ডিভিডেন্টের ওপর কর নিচ্ছে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম বলেন, দেশের ৪৭ শতাংশ বিজনেস ও ফিনান্সিয়াল একটিভিটিজ হয় চট্টগ্রামে। এটা অনুধাবন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার করেছেন। এক টাকায় চেম্বারকে এ জায়গা দিয়েছিলেন। জনগণের ওপর যাতে করের চাপ না হয়।

চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ বলেন, গত ১৫ বছর এ চেম্বারে গঠনমূলক কিছু হয়নি। আমি মনে করি আগামী বাজেট গণমুখী হবে। চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রস্তাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এইচএসকোড নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এগুলো সমাধান করতে হবে।

বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এবার বাজেটে আমাদের প্রত্যাশা বেশি। আরএমজি সেক্টর প্রত্যাশা করে রপ্তানিবান্ধব বাজেট। আমরা রপ্তানি করে দেশ সমৃদ্ধ করতে চাই, কর্মসংস্থান করতে চাই। আইন সহজ না করলে, জটিল প্রক্রিয়ায় রপ্তানি বাড়বে কীভাবে। অডিট নিয়ে ঘুরতে হলে ব্যবসা করবো কখন। ভ্যাট থেকে রপ্তানি খাতকে বাদ দিতে হবে।

বেলাল আহমেদ বলেন, এসআরওর বেড়াজাল বিপজ্জনক। বিচারাধীন থাকাবস্থায় পণ্য আমদানি করা যাবে না শতভাগ কর দেওয়া ছাড়া। ইজি অব ডুয়িং বিজনেস পলিসি চাই।

আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, জাহাজ থেকে লোহার জোগান দিচ্ছি। আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।

রাঙামাটি চেম্বারের মামুনুর রশিদ বলেন, পাহাড়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে বেশি সুবিধা দেওয়ায় বৈষম্য হচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলাকে টুরিজম জোন ঘোষণা দিলে জাতীয় আয়ে বড় অবদান রাখতে পারবে।

কক্সবাজার চেম্বার সভাপতি বলেন, পর্যটন, মৎস্য ও লবণ নিয়ে কক্সবাজার। ব্লু ইকোনমিকে প্রণোদনা দিতে হবে।

বিএসআরএমের শেখর রঞ্জন বলেন, মিনিমাম ট্যাক্সকে মিনিমাম করা উচিত। অডিট সিস্টেম জটিল। প্রতিবছর একই কোম্পানি কেন অডিটে পড়বে? সোলার পাওয়ারকে উৎসাহিত করতে বাধা দূর করতে হবে।

মাহবুব রানা বলেন, আমরা যারা ম্যানুফেকচারার নই বছরে একবার ভ্যাট রিটার্ন দিতে চাই। আম রপ্তানিতে বিমান ভাড়া বেশি ভারতের চেয়ে। সয়াবিন চাষ কঠিন নয়। অনাবাদি জমিতে সয়াবিন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

মাকসুদুর রহমান বলেন, যতটুকু ফার্নিচার রপ্তানি করবো ততটুকু বন্ড সুবিধা দেন।

সালেহ আহমদ সোলাইমান বলেন, একক দোকান মালিকদের অডিট থেকে বাদ দিন। গ্রীষ্মকালে লাইসেন্স নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে বর্ষাকাল এসে যায়। আমরা সুরক্ষা কমিটি চাই।

চসিক প্রতিনিধি জানান, চসিক লাইসেন্স প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার। লাইসেন্স নবায়ন না করার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, ৬৪ হাজার প্রায়। কারণ সাড়ে ৩ হাজার টাকা এআইটি দিতে হয়। ৪১ ওয়ার্ডে ৬২ জন লাইসেন্স পরিদর্শক আছেন।

কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন, অডিট প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার। একবার অডিট হলে তিন বছর না করার প্রস্তাব করছি। ৩৯ বছর শুনে আসছি কর ভবন হবে। কোটি কোটি টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানীকে বাণিজ্যিকভাবে উন্নয়ন করেন।

বক্তব্য দেন উইম্যান চেম্বার সভাপতি আবিদা মোস্তফা, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ

Loading


শিরোনাম বিএনএ