29 C
আবহাওয়া
১:৩৭ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২১, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » গার্মেন্টসের চালান স্থগিত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বায়াররা

গার্মেন্টসের চালান স্থগিত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বায়াররা

গার্মেন্টসের চালান স্থগিত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বায়াররা

বিএনএ, ঢাকা: গার্মেন্টসের চালান স্থগিত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা বা বায়াররা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকরা। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক ৩৭ শতাংশের বোঝা কে টানবেন তা নিয়ে বায়ারদের সঙ্গে পোশাকশিল্প মালিকদের চলছে টানাপোড়েন। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের চালান স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বায়াররা। এরফলে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে গেছে অনেক কনটেইনার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্দর থেকে জাহাজে তোলা চালান ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যায়। জাহাজের কনটেইনারে তোলার সঙ্গে সঙ্গে সে দেশের সংশ্লিষ্ট বন্দরে বিল অব এন্ট্রি দিতে পারে। এতে ৯ এপ্রিলের মধ্যে পণ্য চালান জাহাজে তোলা গেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩৭ শতাংশ শুল্ক থেকে মুক্ত থাকতে পারে চালানগুলো। আগের ট্যারিফ ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে পাঠানো পণ্য খালাস করা গেলে লাভবান হতে পারত গার্মেন্টস মালিক ও বায়াররা।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালান ৯ এপ্রিলের আগে শিপমেন্ট করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগাদা দেওয়া হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের পক্ষ থেকে চালান স্থগিত করায় শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া শুল্ক কে পরিশোধ করবে, বায়াররা দেবেন নাকি পোশাক কারখানার মালিকরা দেবেন, এ নিয়ে চলছে দুই পক্ষের টানাপোড়েন। কিছু কিছু বায়ার চাইছেন সমঝোতার মাধ্যমে দুই পক্ষই এই শুল্ক পরিশোধ করুক। কিছু বায়ার চান পোশাক প্রস্তুতকারকরা শুল্ক পরিশোধ করুক। কিছু মালিক আবার এই শুল্ক পরিশোধ করতে চাইছেন না।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি করা পোশাকের চালান স্থগিত করায় চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে গেছে অনেক কনটেইনার। চট্টগ্রাম ভিত্তিক পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্লিপটন গ্রুপের দুটি চালান স্থগিত করা হয়েছে। আরডিএম গ্রুপের তিনটি চালান স্থগিত করা হয়েছে, ফ্রাংক গ্রুপের দুজন বায়ার চালান স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সব ক্রেতাই চালানের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা।

ক্লিপটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, গত ৫ এপ্রিল আমরা বায়ারদের কাছ থেকে মেইল পেয়েছি। আমাদের দুটি চালান স্থগিত করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি আমাদের দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করছি অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হবে। জিটুজি ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমরা চাই, দেশে গার্মেন্টস শিল্প আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। অন্যথায় বড় ক্ষতি হয়ে যাবে এ শিল্পের।

চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট ডেলমাস গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানি শুল্কে বড় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। এতে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ ৩৭ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধরা আমাদের দেশের পক্ষে সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ।

বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘৯ এপ্রিল থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক আদেশ কার্যকর হচ্ছে। আমরা চেয়েছিলাম ৯ এপ্রিলের আগে প্রস্তুত হওয়া চালান শিপমেন্ট করতে। কিন্তু গণহারে শিপমেন্ট হোল্ড করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা। বায়ারদের এমন আচরণে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। চলমান অর্ডারগুলোও নেওয়া হয়েছে ১৫ শতাংশ শুল্ক হিসাব করে। কিন্তু এ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে পোশাক শিল্প মালিকদের। এর মধ্যে বন্দরে থাকা কনটেইনারগুলো আবার আটকে গেল চালান হোল্ড করায়। এতে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন মালিকরা।’

বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ