বিনোদন ডেস্ক: উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
হিরো আলম বলেন, গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে যত জটিলতাই হোক, উপহারের গাড়ি ফেরত দিবো না। এটা করলে ওই শিক্ষককে অপমান ও ছোট করা হবে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে গরিব মানুষের সেবায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি, এখন গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে, তা খরচ করতে রাজি আছি। তবে যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া মওকুফ চেয়ে বিআরটিএতে আবেদন করবো।
দু-এক দিনের মধ্যে কোনোরকমে গাড়িটি বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ শুরু করবো। এর মাধ্যমে ‘হিরো আলম ফাউন্ডেশন’র কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান হিরো আলম।
হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়া মুখলেছুর রহমান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। উপ-নির্বাচনের একদিন আগে গত ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। উপহারের গাড়ি নিতে গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জে যান হিরো আলম।
জানা গেছে, নোয়া ১৯৯৮ মডেলের উপহার পাওয়া গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চের পর থেকে ওই গাড়ির ট্যাক্স বকেয়া আছে। বর্তমানে ওই গাড়ির বিপরীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাওনা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
শিক্ষক মুখলেছুর বলেন, বিগত পাঁচ বছর যাবত বৈধ কাগজ ছাড়াই গাড়িটি চালিয়েছি আমি। হিরো আলমও কাগজপত্র দেখে এবং সবকিছু জেনেই সেটা গ্রহণ করেছে। আর অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে ব্যবহার করলে তো ওই গাড়ির কোনো কাগজের প্রয়োজন নেই। কারণ, দেশে এভাবে হাজার হাজার গাড়ি চলছে।
বিআরটিএ হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, গাড়ির লাইসেন্স যদি কেউ নিয়মিত নবায়ন না করেন, তাহলে কত টাকা দিয়ে নবায়ন করতে হবে সেটার ব্যাংক হিসাব দিতে হবে। ২০১৩ সালের পর যদি গাড়িটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয় তাহলে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া দিতে হবে তাকে।
হিরো আলম ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ