25 C
আবহাওয়া
২:০৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৮৫ (চট্টগ্রাম-৮)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৮৫ (চট্টগ্রাম-৮)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল সংসদীয় আসন-২৮৫ (চট্টগ্রাম-৮)

বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে চট্টগ্রাম-৮ আসনের হালচাল।

চট্টগ্রাম-৮ আসন

চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনটি শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত বোয়ালখালী উপজেলা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩ নং পাঁচলাইশ, ৪ নং চান্দগাঁও, ৫ নং মোহরা, ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ও ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৫ তম আসন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের ২৮৫তম আসনটি ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ থেকে ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ পর্যন্ত এই আসনটি চট্টগ্রাম-১০ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) নামে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালে এটির পরিচয় হয় চট্টগ্রাম-৭ নামে। ২০১৪ সালের নবম জাতীয় সংসদ থেকে সীমানা পরিবর্তনের পর এই আসনটি চট্টগ্রাম-৮ নামে পরিচিতি পায়। তারই ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সিরাজুল ইসলাম বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১৩ হাজার ১ শত ৫১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩ শত ৫১ জন। নির্বাচনে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫১ হাজার ১ শত ৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ৭ শত ৫৭ ভোট।

YouTube player

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন: বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খান বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬ শত ৭৬ জন। নির্বাচনে বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮১ হাজার ৭ শত ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭৭ হাজার ৮৮ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খান বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১২ হাজার ৪ শত ৩২ জন। নির্বাচনে বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১২ হাজার ৩ শত ৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের এস এম আবুল কালাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯০ হাজার ৩ শত ৮০ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিজয়ী হন

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে ২৮৫ তম সংসদীয় আসনটি চট্টগ্রাম-৭ নামে পরিচিত ছিল। তখন এই আসনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শত ২০ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮ শত ৭৬ জন। নির্বাচনে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫১ হাজার ৬ শত ৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এরশাদ উল্লাহ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ শত ৬৫ ভোট।

দশম সংসদ নির্বাচন: জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে র্নিবাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯ শত ৯৬ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১ শত ৬৮ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন। নৌকা প্রতীকে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সুফিয়ান, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফরিদ খান, টেলিভিশন প্রতীকে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র এস এম ইকবাল হোসেন, মোমবাতি প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দীন মো. আবদুস সামাদ, কুঁড়েঘর প্রতীকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের বাপন দাশ গুপ্ত, সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক, কাস্তে প্রতীকে সিপিবির সেহাব উদ্দীন এবং আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান মাহমুদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৮২ হাজার ৩ শত ১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবু সুফিয়ান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৬০ হাজার ৪ শত ২৮ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

একাদশ সংসদ উপ-নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ বিজয়ী হন

২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

একাদশ সংসদ উপ-নির্বাচন: আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ বিজয়ী হন

গত ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি পুনরায় শূন্য হয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ বিজয়ী হন।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম ,ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি, নবম ,দশম ও একাদশ সংসদে জাসদ প্রার্থী এবং একাদশ সংসদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর চট্টগ্রাম-৮ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৫.৯৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৩.১৬%, বিএনপি ৫২.১৪%, জাতীয় পার্টি ২.৩৬%, জামায়াতে ইসলামী ১০.১১%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.২৩% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭০.৩৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪২.৯৯%, বিএনপি ৪৭.১১%, জামায়াতে ইসলামী ৮.০১%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৮৯% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৬.১১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪০.৩৬%, ৪ দলীয় জোট ৫৬.৭৩%, জাতীয় পার্টি ১.২৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৬৭% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮২.৭৯% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫১.৪৮%, ৪ দলীয় জোট ৪৫.৩১%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.২১% ভোট পায়।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট থেকে একাধিকবার নির্বাচিত জাসদের প্রয়াত নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা বাদল।

বিএনপি এক দফার সরকার পতন আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল, অবরোধ নিয়েই ব্যস্ত। বেশিরভাগ শীর্ষ নেতারা কারাগারে। এ অবস্থায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে। যদি নির্বাচনে অংশ নেন সে ক্ষেত্রে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ।

আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৮৪ (চট্টগ্রাম-৭)

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ নামে পরিচিত এই আসনে ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবুল কাসেম, ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মোর্শেদ খান, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কামরুন নাহার জাফর, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম, ১৯৯৬ সালের ষষ্ট ও সপ্তম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে বিএনপির মোর্শেদ খান বিজয়ী হন। ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সমর্থনে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করার পর এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনিও মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।

এই আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতা বলয়ের বাহিরে থাকায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিতে ধস নেমেছে। তার ওপর রয়েছে দলীয় কোন্দল। যদিও তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির বিপুল ভোট রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক শক্ত। কিন্তু জনপ্রিয় হেভিওয়েট প্রার্থী সংকট রয়েছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৮৫ তম সংসদীয় আসন (চট্টগ্রাম-৮) আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে।

বিএনএনিউজ/ শাম্মী/ রেহানা/ বাবর মুনাফ/ ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ