30 C
আবহাওয়া
৭:১৬ পূর্বাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জি-২০ সম্মেলন শুরু, ভারতে সমবেত বিশ্ব নেতারা

জি-২০ সম্মেলন শুরু, ভারতে সমবেত বিশ্ব নেতারা

ভারত

বিশ্ব ডেস্ক: ভারতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন। এতে অংশ নিতে এরই মধ্যে নয়াদিল্লিতে হাজির হয়েছেন বিশ্বনেতারা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে ভারত। দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত হচ্ছে এই সম্মেলন। বলা হচ্ছে যে, গোটা বিশ্বই যেন ভারতে হাজির হয়েছে। এর আগে ভারত এত বড় কোনো সম্মেলনের আয়োজন করেনি।

এরই মধ্যে ভারতে পৌঁছেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকসহ বিশ্বের তাবড় নেতারা। যদিও এতে এবার অংশ নিচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তাদের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

এবারের জি ২০ সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। তবে এতে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তবে এবারের সম্মেলন নয়ে অনেক সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এ জোটের।

সম্মেলন উপলক্ষে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে। নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠে নামানো হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। নিরাপত্তার খাতিরে রয়েছে ড্রোন–বিরোধী ব্যবস্থা। দিল্লির বানরের দলগুলোকে ঠেকাতেও নেওয়া হয়েছে অভিনব সব কৌশল।

এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন-২০২৩ যে থিমের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা হলো বসুধৈব কুটুম্বকম (এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ)। মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ ও অণুজীবসহ সব জীবনের মূল্য ও পৃথিবী ও বিস্তৃত গ্রহে তাদের আন্তঃসম্পর্ককে কেন্দ্র করে এজেন্ডটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

খালিজ টাইমসের এক মতামতে বলা হয়, এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে দেশগুলোকে বিভিন্ন পরিবর্তনের পথ অনুসরণ করতে হতে পারে। দুর্বল অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য আরও আর্থিক সংস্থান প্রয়োজন, গ্রহটিকে রক্ষা করার সময় তাদের জনসংখ্যাকে দারিদ্র্য থেকে তুলে আনতে হবে। নেট-শূন্য গ্রীনহাউস-গ্যাস নির্গমন অর্জন থেকে শুরু করে বৈষম্য কমানো পর্যন্ত আজকের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত পুঁজির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

এই বছরও জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আমাদের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষে পৌঁছানোর একটি ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই লক্ষ্যটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করব এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো তাদের ন্যায্য অংশে নেবার চেষ্টা করবে। এছাড়াও নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর জন্য ঋণ পুনর্গঠন সমন্বয় প্রক্রিয়ার সময়োপযোগিতা করতে হবে। এটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে তা প্রসারিত করার বিষয়ে আলোচনা করা উচিৎ। ইতোমধ্যেই চাদ এবং জাম্বিয়ার জন্য সরবরাহ করেছে কমন ফ্রেমওয়ার্ক। এটি অন্য কোথাও ব্যবহার করা যেতে পারে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়, এই জোটের দেশগুলোকে একে অপরকে সমর্থন করতে হবে। যা তাদের স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার জন্য প্রয়োজন।

সম্প্রতি জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর আলোচনার পরিসর বেড়েছে। তাদের আলোচ্য সূচি শুধু অর্থনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই জ্বালানি, আন্তর্জাতিক ঋণ মওকুফ এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর করদানের মতো বিষয়ও আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ