24 C
আবহাওয়া
৪:২৬ পূর্বাহ্ণ - মে ৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন(২০২৪) আপডেট, কে হচ্ছেন পরবর্তী সরকার প্রধান

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন(২০২৪) আপডেট, কে হচ্ছেন পরবর্তী সরকার প্রধান

(বাঁ দিক থেকে) নওয়াজ শরিফ, ইমরান খান এবং বিলাবল ভুট্টো জারদারি। ফাইল চিত্র।

বিশ্ব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) অনুষ্ঠিত ২৪ কোটি ১০ লাখ মানুষের পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে শুক্রবার দুপুরেও ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার কাজ অব্যাহত রয়েছে।

নির্বাচনে একজন ভোটার দুটি করে ভোট দেন, একটি জাতীয় আইনসভার জন্য অপরটি প্রাদেশিক আইনসভার জন্য। জাতীয় আইনসভার আসন সংখ্যা ২৬৬টি। এর মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশে আছে সবচেয়ে বেশি, ১৪১টি আসন। সিন্ধু প্রদেশে আছে ৬১টি, খাইবার পাখতুনখওয়ায় ৪৫টি, বেলুচিস্তানে ১৬টি ও রাজধানী ইসলামাবাদ অঞ্চলে ৩টি।

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে

জাতীয় আইনসভায় ৬০টি মহিলাদের এবং ১০টি সংখ্যা লঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়(ডন ডটকম) ,সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র  প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত  জাতীয় আইনসভার আসনে জিতেছেন ২৬টি,  নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ১৮ টি এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ২০টি  আসন পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নওয়াজ শরিফ খাইবার পাখতুনখাওয়ার এনএ- ১৫ মানসেহরা আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে পরাজিত হয়েছেন।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নওয়াজ শরিফ এই আসনে ১১ হাজার ৬৫৯ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। অবশ্য নওয়াজ শরিফ লাহোরের এনএ-১৩০ আসনেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।

নিজেদের শক্ত ঘাঁটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্তত তিনটি আসনে জয় পেয়েছেন ইমরানের দল সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। আবার সিন্ধু প্রদেশে ‘লড়াই’ করছে বেনজির ভুট্টোর পুত্র তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।

 

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, অধিকাংশ আসনেই টক্কর চলছে ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত নির্দল এবং নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) প্রার্থীদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান এখন জেলে বন্দি। তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইমরানের দল পিটিআই-এর নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট কেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে অনেক পিটিআই কর্মীসমর্থক নির্দল প্রার্থী হিসাবে অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইতে নামেন। খুব পিছিয়ে নেই বিলাওয়ালের পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-ও।

সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না বলে দাবি করেছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে জেনারেলদের সমর্থন পাচ্ছেন নওয়াজ, এর আগে ২০১৮ সালে তারা ইমারনকে বেছে নিয়েছিলেন।

নওয়াজ ও ইমরান উভয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, সামরিক বাহিনীর ইশারায় তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কিন্তু সামরিক বাহিনী তা অস্বীকার করেছে।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে কে হচ্ছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলা মুশকিল।

বিএনএ,এসজিএন/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ