27 C
আবহাওয়া
৪:০০ পূর্বাহ্ণ - মে ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » উপজেলায় ৯ সন্তান, ১ স্ত্রী এখনো ভোটের মাঠে !

উপজেলায় ৯ সন্তান, ১ স্ত্রী এখনো ভোটের মাঠে !


বিএনএ ডেস্ক : উপজেলা নির্বাচনের মাঠে বিএনপি ও সমমনারা না গেলেও মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা উত্তরাধিকার বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিন ধাপের নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের ৫২ জন সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজন প্রার্থী রয়েছেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানান, সংসদ সদস্যদের অনেকে ক্ষমতা নিজের হাতে ধরে রাখতে সন্তান বা নিকটাত্মীয়দের ভোটের মাঠে নামিয়েছেন। স্বজনেরা ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল আওয়ামী লীগ। শেষ পর্যন্ত স্বজনদের ঠেকানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

YouTube player

প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে সন্তান ও স্ত্রীকে বুঝিয়েছেন।

স্বজন বলতে আওয়ামী লীগ যে পরিবারকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের অন্তত নয়জনের সন্তান এবং একজনের স্ত্রী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম তিন ধাপে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের অন্তত ৫২ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে। গত বৃহস্পতিবার তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র জমা শেষ হয়। তৃতীয় ধাপেও মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের ১৮ জন স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। তিন ধাপের নির্বাচনে অন্তত নয়জন সন্তান চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। একজনের বাবা ও একজনের স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। ১৩ জন আপন ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাকিরা সম্পর্কে চাচা, চাচাতো ভাই, ভাতিজা, শ্যালক ও ভগ্নিপতি।

প্রথম ধাপের ভোট ৮ মে। এই ধাপে মাদারীপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আসিবুর রহমান খান। তাঁর বাবা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ প্রার্থী। রাকিবুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পাবনার ভাঙ্গুরায় সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে গোলাম হাসনায়েন আছেন ভোটের মাঠে। নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলমও চেয়ারম্যান প্রার্থী।

তৃতীয় ধাপে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আনিসুর রহমান রিয়াদ চেয়ারম্যান প্রার্থী।

স্বজনদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আপন ভাইয়েরা এগিয়ে রয়েছেন।

পাবনার বেড়া উপজেলায় বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর দুজন আত্মীয় নির্বাচন করছেন। তাঁরা হলেন তাঁর আপন ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন ও আরেক ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের।

সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নূর ই আলম নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা নজরুল মজিদ মাহমুদ চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ প্রার্থী হয়েছেন।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাই গোলাম সারওয়ার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায়।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুন অর রশীদ প্রার্থী হয়েছেন।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারী। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা।

বিএনএ/ শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ