বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানা যায় রোববার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে। ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালী থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় একমাত্র আসামি শামসুল হক প্রকাশ বাচ্চু (৬০)। এ ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। শামসুল কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার কালীরবাজার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার আসামি শামসুল এক হাজার ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানোর জন্য আদালতের হাজতখানা থেকে বের করা হলে সুযোগ বুঝে সে পালিয়ে যায়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, আসামি পালিয়ে যাবার ঘটনায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দায়িত্বরত সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন উপ পরিদর্শক (এসআই), দুজন সহকারী ট্রাফিক উপ পরিদর্শক (এটিএসআই) এবং চারজন কনস্টেবল আছেন।
বিএনএ/এমএফ