বিএনএ, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে ব্যাপক ভাবে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সন্ধ্যা ও রাতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শহরে ও গ্রাম গঞ্জে জেঁকে বসেছে অগ্রাহানের শীত। গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকান গুলোতে। কদর বেড়েছে কাপড় বিক্রেতাদের। পুরাতন কিংবা নতুন কাপড়ের দোকানে সমানভাবে ভিড়ের লক্ষ্য করা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের চেয়ে এবারে নতুন বা পুরাতন কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি। একইভাবে ক্রেতারা অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে, যে ব্যবসায়ীরা শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশি দামে কাপড় বিক্রি করছে।
ফুটপাতের ক্ষদ্র্র ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পুরাতন কাপড়ের দাম মহাজনরা বেশি নিচ্ছে। প্রতি বছর শীতের সময় মহাজনদের কাছ থেকে গরম কাপড়ের গাইট নিয়ে তা খোলা বাজারে খুচরা বিক্রি করেন তারা।
তারা জানান, গত বছর বাচ্চাদের যে কাপড় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা এবার ১’ শ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বড়দের যে কাপড় ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেনা গেছে, এবার তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া কম্বলের দামও বেড়েছে। প্রকার ভেদে একটি কম্বল আড়াই’শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছে দোকানীরা।
বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ওভারকোট, ফুল হাতা গেঞ্জি, কম্বল, মেয়েদের কার্টিগান, হাতমোজা ও পা মোজার ক্রেতার সংখ্যা বেশি। মহেশপুর চা বাজার রোডের পাশে ফুটপাতের ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন জানান, কোনো কোনো গাইটের ভেতর ছেঁড়া-ফাটা কাপড় থাকে, যা মহাজনরা ফেরত নিতে চান না। এর ফলে লোকসান গুনতে হয়। তাই কিছুটা বেশি দামে বিক্রি না করলে লাভতো দুরে থাক আসলই উঠবেনা।
বিএনএ/আতিক, এমএফ