বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী সভার মঞ্চ থেকে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীকে নামিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল মাঠে শ্রমিক লীগের আওতাধীন বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ সভায় এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্রোহী প্রার্থী আনজুমান আরা বেগম নগরীর আন্দরকিল্লা, চকবাজার ও দেওয়ানবাজার নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। সর্বশেষ তিন দফা দলের মনোনয়ন নিয়ে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবার তার পরিবর্তে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন মহিলা লীগ নেত্রী রুমকি সেনগুপ্ত। নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর ও দপ্তর সম্পাদক জহরলাল হাজারী তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন আনজুমান আরা বেগম।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সভাস্থলে না পৌঁছালেও তখন মঞ্চে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, শফর আলী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, চন্দন ধর, জহর লাল হাজারী।
জানা গেছে, আনজুমান আরা বেগম মঞ্চে উঠলে চন্দন ধর ও জহরলাল হাজারী প্রতিবাদ করে তাকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। বিব্রত আনজুমান মঞ্চ থেকে নেমে যান এবং একপর্যায়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এর পরপরই মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও পরে আ জ ম নাছির উদ্দীন সভায় যোগ দেন।
আনজুমান আরা বেগম বলেন, নৌকার পক্ষে কথা বলার সময় তারা চায়নি আমি বক্তব্য দিই। আমি বলেছি, আমি-তো নৌকার জন্য এসেছি। নৌকার পক্ষে কথা বলতে মঞ্চে উঠেছি। আমিও-তো একজন প্রার্থী। তারপরও তারা মঞ্চে থাকতে দেয়নি।
তিনি বলেন, আয়োজকরা আমাকে অনুরোধ করে মঞ্চে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু জহরলাল হাজারী দাদা ও চন্দন দাদা আমাকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। আমিও নেমে চলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, দলীয় সমর্থন না পেলেও আমি দল ছেড়ে যাইনি। আমি গত তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং এখনও জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিক।
এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর বলেন, আজ (শনিবার) দুপুরে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল মাঠে শ্রমিক লীগের একটি সমাবেশ ছিলো। সেটি বুঝতে পেরে উনি নিজেই মঞ্চ থেকে নেমে গেছেন। আমরা তাকে নামিয়ে দিইনি।
বিএনএনিউজ/মনির