বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র(আইসিইউ)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর রক্তে শ্বেতকণিকার মাত্রা ২৬ হাজার ১১০ দশমিক ৬ ঘন মিলিমিটারের বেশি হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এছাড়া মৃত্যুবরণ করা রোগীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম। যার গড় পরিমাণ ১০ দশমিক ৬ গ্রাম। আবার ৭২ শতাংশ রোগীর রক্তে অক্সিজেনের চাপ কম থাকায় মৃত্যু কম হয়। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র(আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের রক্তের বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা বিশ্লেষণ করে মৃত্যুঝুঁকির সম্ভাব্যতা যাচাই নিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, আইসিইউতে থাকা রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করে।
চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত একটি গবেষণায় যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের গবেষকরা।
সিভাসু উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খান এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।
গবেষকরা বলছেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের যদি রক্তের বিভিন্ন উপাদানের বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা যায়- তাহলে মৃত্যুঝুঁকি কমে আসবে।
গবেষণাকাজে আরও যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ, জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মৌমিতা দাশ, সিভাসুর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ত্রিদীপ দাশ, সিভাসুর মলিকুলার বায়োলজিস্ট প্রণেশ দত্ত, সিরাজুল ইসলাম ও তানভির আহমেদ নিজামী।