বিএনএ ডেস্ক: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মূল হোতা রতন (২১) হোসেন পেশায় বাসের হেলপার। গত ৫ বছর ধরে বাস ডাকাতিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে রতন। গত ছয় মাসে সে অন্তত ১০টি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত। এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে খন্দকার মঈন জানান, টাঙ্গাইল বাস ডাকাতি ও এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রতন ও তার নয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ঠিকানা পরিবহনে ডাকাতি এবং ২০২০ সালে একটি অটোরিকশা ডাকাতির ঘটনায় রতন দুইবার গ্রেপ্তার হয়েছিলো। এসব ঘটনায় প্রায় আড়াই বছর জেলে ছিলো রতন। নয় মাস আগে জামিন পায় সে। মাত্র ৩ দিনের পরিকল্পনায় টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাত করে সে।
গ্রেপ্তার নয়জনের মধ্যে আছে, আলাউদ্দিন (২৪), সোহাগ মণ্ডল (২০), খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দিপু (২৩), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. জীবন (২১), আবদুল মান্নান (২২), নাঈম সরকার (১৯), রাসেল তালুকদার (৩২) ও আসলাম তালুকদার রায়হান (১৮)।
র্যাব জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজন গার্মেন্টস কর্মচারী এবং বাকিরা বিভিন্ন বাসের হেলপার। নিয়মিত কাজের আড়ালে তারা ডাকাতি করে আসছিল। রতন যেকোনো ডাকাতির পরিকল্পনা করার পর, অন্যরা এক জায়গায় জড়ো হয়, ডাকাতি করে এবং তারপর আত্মগোপন করে।
খন্দকার মঈন বলেন, একজন নারী যাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ করলেও গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবকে জানায়, তারা টাঙ্গাইল বাসের ভেতরে একাধিক নারী যাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে। র্যাব জানায়, টাঙ্গাইলে বাস ডাকাতিতে এই চক্রের ১৩ সদস্য অংশ নেয়। এর মধ্যে তিনজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে যাত্রীদের ২০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বিএনএ/এ আর
