বিএনএ, সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজারে ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত বাদশা মিয়া (২২) নামে আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
বাদশা সুনামগঞ্জের দিরাদ উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের দাসহাটির মায়েদ নূরের ছেলে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ১৫ জনে গিয়ে দাঁড়াল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসমানী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে বাদশা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে একটি বাড়ির ঢালাইয়ের কাজ করতে ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক বুধবার (৭ মে) ভোরে সিলেট থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে রওনা দেন। পিকআপটি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারের কুতুবপুরে পৌঁছলে বিপরীতমুখী বালু বহনকারী একটি ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং পিকআপ ভ্যানটি রাস্তায় উল্টে যায়। রাস্তায় এবং পাশের ঝোপঝাড়ে ছিটকে পড়েন শ্রমিকরা। দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। হাসপাতালে আনার পর আরো ৩ জন মারা যান। এরপর আজ সকালে আরেকজনের মৃত্যু হলো।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে মো. সিজিল মিয়া (৫৫), পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৬৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), মধুপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা মিয়া (২২), মধুপুর গ্রামের সাধু মিয়া (৫০), ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ আলী (২৫), ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহীন মিয়া (৪০), মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারম্নন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৬), তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০) এবং আজ মারা গেলেন দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মায়েদ নুরের ছেলে বাদশা (২২)।
বিএনএনিউজ/বিএম