বিএনএ, ঢাকা: রোগীকে কোনো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষা না দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের পেশ করা প্রস্তাব থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, সরকারি সেবা প্রদানকারী দ্বারা কোনো রোগীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পরিষেবা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যাবে না। কোনো ওষুধ প্রস্তুতকারকের প্যাডে প্রেসক্রিপশন লেখা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, রোগীকে কোনো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখা যাবে না এবং কোনো অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া যাবে না। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারে সিসিটিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। শল্য চিকিৎসার প্রতিটি পদক্ষেপ শল্যদলের প্রধানকে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে হবে এবং তার রেকর্ড থাকতে হবে। যে কোনো সেবাই সেখানে দেওয়া হোক তার রেকর্ড রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেবা গ্রহণকারী চাইলে যুক্তিসংগত অর্থের বিনিময়ে তা রোগী বা রোগীর পক্ষকে দিতে হবে; এর অন্যথা হলে উপযুক্ত বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, পরিষেবা প্রদান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য বেসরকারি খাতের ঝুঁকি ভাগাভাগি নিশ্চিত করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব চুক্তিকে উৎসাহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা যাতে দক্ষতার সঙ্গে চুক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালিত করতে পারেন তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ক্লিনিক্যাল সেবায় দুর্ঘটনা-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
গত সোমবার (৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনের প্রতিবেদনের স্বাস্থ্য সেবাদান ও ভৌত অবকাঠামো শিরোনামের তৃতীয় পরিচ্ছেদে হাসপাতাল এবং রোগ নির্ণয় পরিষেবাভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাবনার ৯২ পৃষ্ঠায় ‘সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা’ শিরোনামে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বিএনএনিউজ/ বিএম