বিএনএ,কক্সবাজার : টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর থেকে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি (এএ)৷ এর মধ্যে দুটি ট্রলারে ১১ জন জেলে অপহৃত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাকি তিন ট্রলারের মালিক ও জেলেদের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বঙ্গোপসাগরের নাফ নদীর মোহনা সংলগ্ন এলাকা থেকে এসব মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ট্রলার মালিক সমিতির অভিযোগ, এই অপহরণের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা জড়িত। মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি বাংলাদেশ জলসীমানা থেকে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের ধরে নিয়ে গেছেন।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আরও তিনটি মাছ ধরার নৌকা নিখোঁজ থাকার খবর রয়েছে। তবে সেগুলোর মালিক এবং জেলেদের তথ্য পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের তথ্য অনুসন্ধানে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি এলাকায় বাংলাদেশ জলসীমানায় মাছ শিকারের সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি এপারে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘাটে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে দুটি ট্রলারে ১১ জেলে ছিল । সেখানে আমার ট্রলারও রয়েছে। বার বার এ ধরনের ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই বিষয়টি সমাধানে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে সেগুলো কোন ঘাটের নৌকা তা জানা যায়নি। তাছাড়া সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আমার এলাকার বেশ কয়েকটি নৌকাকে ধাওয়া করেছিল আরাকান আর্মি।
ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে দুটি ট্রলারে ১১ জন জেলের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি তিন ট্রলারের তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান তিনি।
বিএনএ/ এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন,ওজি