বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতি থেকে বের হয়ে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসারবৃন্দের (১০ম গ্রেড তদূর্ধ্ব) মর্যাদা, অধিকার, গ্রেড বৈষম্য দূরীকরণ ও ন্যায়সংগত অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (RUDOA) গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ও নবগঠিত রাবি ‘ডিরেক্টর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’র আহবায়ক মো. আলমগীর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. আলমগীর বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীগণ আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে প্রায় ৭৫০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৫৭ জন সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নীতিমালা এক ও অভিন্ন। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের (২০১৫ সালের বেতন গেজেট অনুযায়ী) ১ম গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে ১ম গ্রেড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছি।”
৯ম গ্রেডে যোগদান করে আমরা সর্বোচ্চ ২টি পদোন্নতি পেয়ে ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়ে থাকি। অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার/সমমান পদে আপগ্রেডেশন নীতিমালা ৫০১,৫০২ ও ৫০৪তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হলেও অদৃশ্য কারণে উক্ত পদে আপগ্রেডেশন অদ্যবধি কার্যকর করা হয়নি। এখানে পদোন্নতিসহ আপগ্রেডেড কর্মকর্তাগণের সাথে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের বিভিন্ন বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।
উক্ত বৈষম্য দূরীকরণ, বর্তমান অফিসার সমিতি থেকে মাসিক চাঁদা কর্তন বন্ধসহ ন্যায়সংগত অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৮ মে ২০২৩-এ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে আইকিউএসি-র সম্মেলন কক্ষে সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে ‘ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’র (RUDOA) গঠন ও অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মাসিক চাঁদা কর্তন বন্ধের বিষয়ে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় আমাদেরকে মৌখিকভাবে চাঁদা কর্তন বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশ্বস্ত করলেও তা বন্ধ করা হয়নি। চলতি মাস (নভেম্বর-২৩) থেকে চাঁদা কর্তন বন্ধসহ সার্বিক বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, আমরা মনে করব প্রশাসন আমাদেরকে বেতনের টাকা সংরক্ষণে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।
আরও পড়ুন:
নবগঠিত এ অ্যাসোসিয়েশন থেকে স্বতন্ত্র সমিতির অনুমোদন, চাঁদা কর্তন বন্ধ ও স্বতন্ত্র নীতিমালা প্রণয়নের জন্য জোর দাবি জানান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতি থেকে ৪ জন পদত্যাগ করেন। তারা হলেন- হাবিবা হায়দার লিচু, (উপপ্রধান আবাসিক শিক্ষিকা), জাকিরুল ইসলাম, মো. আসলাম রেজা (উপ-রেজিস্ট্রার), মো. আবু হানিফ (ডেপুটি রেজিস্ট্রার)।
বিএনএনিউজ/ সৈয়দ সাকিব/ বিএম