বিএনএ, ময়মনসিংহ : হঠাৎ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী আক্রান্তের সংখ্যা।অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে আশংকাজনক ভাবে ময়মনসিংহেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। আক্রান্তদের মাঝে ১০ জন পুরুষ, এক শিশু ও এক নারী রয়েছে। ১২ জনের ৯ জন ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অপর তিনজন ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সৌরভ হাসান জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, আমি ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি মসজিদে খেদমতের কাজ করি। সেখানে হঠাৎ প্রচন্ড মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা ও জ্বর হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে সেখান থেকে এসে গত রোববার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন আগের চাইতে অনেকটা সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।
ঢাকার মিরপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করেন হাবিবুর রহমান। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, হঠাৎ মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, জ্বর অনুভব করি। পরে সেখানেই পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি বুজতে পারি। পরে ময়মনসিংহে এসে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন আগের চাইতে অনেকটা ভাল আছি।
ময়মনসিংহ সদরের কুকিল গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করি। গত এক মাস ঢাকার আগারগাঁও, তালতলা এলাকায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করেছি। সেখানে জ্বর, মাথা ব্যথা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। অনেক ওষুধ খাওয়ার পরেও জ্বর ভাল না হওয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষা করি। পরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হই। জ্বর কিছুটা ভাল হলেও শরীর দুর্বল
মমেকের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন কায়সার হাসান খান বলেন, সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে আক্রান্ত অধিংকাশ রোগী ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে হলে সচেতনতা খুব জরুরি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ১২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মাঝে ১০ জন পুরুষ, একজন নারী ও একজন শিশু ভর্তি আছেন। পরিকল্পনা আছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে আলাদা একটি ইউনিট করা হবে। যেখানে শুধু ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরাই চিকিৎসা দেয়া হবে।
বিএনএ /হামিমুর, এমএফ
