বিএনএ ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আর এই মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আইনমন্ত্রী তিনি। আনিসুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠানো হয়েছে। তবে মতামতে কী রয়েছে তা জানাননি। এটি চূড়ান্ত মতামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাবে। এর পরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে— খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন কী যাবেন না। এর আগে কিছু বলা ঠিক হবে না বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এখন জার্মানিতে অবস্থান করছেন। আগামি ১০ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। মন্ত্রী দেশে আসার পর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আগের বারের মতো এবারের চিঠিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর কথা বলে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামি ১৫ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ শেষের কয়েক দিন আগে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার।
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড ভোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দণ্ডিত হওয়ার পর তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় । গত বছর বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ছড়িয়ে পড়লে শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিন পান খালেদা জিয়া।
বিএনএনিউজ/আরকেসি