ঢাকা : রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে সোমবারের সারাদিন ও রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ-বিজিবিসহ রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় আরও ২০জনের মরদেহ ধারাবাহিকভাবে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট ২০২৪) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ১৯জনের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।নিহতরা হলেন- রোমান (২২), সাইফুদ্দিন (৬০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩২), রুবেল (১৮), অজ্ঞাত পুরুষ (৫০), আসিফ (১৬), অজ্ঞাত পুরুষ (৪০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩২), অজ্ঞাত পুরুষ (৩৮), মাহমুদ (২১), মনির (৪৫), অজ্ঞাত পুরুষ (৩০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩০), অজ্ঞাত পুরুষ (৪০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩৬), শাহরিয়ার আলম বাপ্পী (৩৫)।
নিহত বাপ্পীর খালাতো বোন খালেদা আক্তার পুনম জানান, তাদের বাসা মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের বি-ব্লকে। বাপ্পী কিছুই করতো না। সোমবার রাত ১০টার দিকে চা খেতে বাসা থেকে বের হয়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে খবর পাই হাতিরঝিলের পানিতে ভাসছে বাপ্পীর মরদেহ।
পরে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তার বাম হাতে গুলির চিহ্ন দেখতে পেয়েছি।
ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে সে।
এছাড়া মঙ্গলবারের ডিএমপি ডিবি উত্তর জোনে কর্মরত নিহত পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম (৪৪), গাজিপুর শ্রীপুর থেকে আব্দুল আলীম শেখ (৪৪) নামে এক বিজিবি সদস্য, যাত্রাবাড়িতে নিহত আনোয়ার হোসেন (৫৭) নামে এক র্যাব সদস্য ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে মাহফুজুর রহমান (২৪) নামে এক পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
মাহফুজুর রহমানের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাদের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার তিলকপুর গ্রামের মো. সোলায়মান হোসেনের ছেলে। মাহফুজ মিরপুর পিএমও তে কর্মরত ছিল।
সোমবার সংসদ ভবন এলাকায় আন্দোলকারীদের হামলায় নিহত হন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মঙ্গলবার ২০জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আহা, এসজিএন