বিএনএ , ঢাকা: সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে সম্মিলিত ইসলামি দলের ব্যানারে শুক্রবার(৭ জুলাই) জুমার নামাজ শেষে ঢাকায় শোডাউন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ বিক্ষোভ মিছিলের (শোডাউন) নেতৃত্বে ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাইদী। জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী ছাত্র সংগঠন শিবিরসহ দলটির প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন।
জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট দিয়ে প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল বের করে খেলাফত মজলিশ। এরপরই প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে রাস্তায় নামে জামায়াত ও শিবির। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে পল্টন, বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও নয়াপল্টন মোড়েও পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। প্রস্তুত ছিল জলকামান ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে বের হয়ে নয়াপল্টন মোড় ঘুরে পানির ট্যাংকের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ থেকে জেনেভা কনভেনশনের আলোকে দোষীদের বিচার, জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের দাবি জানানো হয়।
সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের সমন্বয়ক খলিলুর রহমান মাদানি গণমাধ্যমকে জানান, ‘শামীম সাইদী জামায়াতে ইসলামীর কোনো দায়িত্বে নেই। তাঁর বাবা বড় দায়িত্বে থাকলেও উনি (শামীম সাইদী) দলের সঙ্গে নেই। তবে জুম্মার নামাজ থেকে তিনি মিছিলে যোগ দেন। আর একটু লম্বা হওয়ায় সবদিক থেকে তাঁকে সবার আগে দেখা যায়। তাই মনে হতে পারে তাঁর নেতৃত্বেই মিছিল হচ্ছে।’
মাদানি আরও জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিশসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল সম্মিলিতভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘আমরা দলীয় কর্মসূচি হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছি। সেখানে (সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের মিছিল) আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন না। খেলাফত মজলিশের শীর্ষ নেতারাও একই কথা জানান।
বিএনএ/ওজি/ হাসনাহেনা