25 C
আবহাওয়া
৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ - মে ১০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিইউএফএল: মাইরও খেলেন, চাকরিও হারালেন!

সিইউএফএল: মাইরও খেলেন, চাকরিও হারালেন!


।। এনামুল হক নাবিদ ।।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)-এ অস্থায়ী দুই শ্রমিকের মধ্যে ফলের গাছ ভাঙাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। অস্থায়ী এই দুই শ্রমিক হলেন, বিদ্যুৎ /এমটিএস বিভাগর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কো-অপারেটিভ পরিচালক  ফেরদৌস আলম রঞ্জু। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কো-অপারেটিভে  গেলে মহিদ্দিনকে গুরুতর আহত করার অভিযাগ ওঠেছে অপারেটিভের দায়িত্বরত ফেরদৌস আলম রঞ্জু ও মোহাম্মদ মাসুদ নামের দুই শ্রমিকের  বিরুদ্ধে।

ভূক্তভোগী মহিউদ্দিন

এদিকে  মাইর খেয়ে  বিচার না পেয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে উল্টো চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযাগ তুলছে   ভুক্তভাগী ওই শ্রমিক।

জানা যায়, ঘটনার পর  বিচার পাওয়ার আবেদন করে সিইউএফএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি মিজানুর রহমানের কাছে আবেদন করেন ভুক্তভাগী শ্রমিক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন। এছাড়াও স্বামী – স্ত্রীকে মারধর করার অভিযাগে মোহাম্মদ মাসুদ (৪৫) ও ফেরদৌস আলম রঞ্জু (৪০) কে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযাগ দায়ের করছেন ভুক্তভাগী মাহাম্মদ মহিউদ্দিনর স্ত্রী নাদিরা আক্তার।

থানায় লিখিত অভিযাগ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে করা আবেদন সূত্রে জানা যায়, সিইউএফএল হাউজিং কলোনির নীচ তলার বাসিন্দা হিসেবে আমি ও আমার প্রতিবেশি বাসার সামনের গাছগুলোর ফল ভাগ করি। ফল ভাগ করা নিয়ে তিনতলার বাসিন্দা অস্থায়ী শ্রমিক ফেরদৌস আলম রঞ্জুর সাথে আমার মনোমালিণ্য  হয়।  যার প্রেক্ষিতে রঞ্জু এবং তার স্ত্রী ফলগাছগুলো কেটে ফেলে।  তাতে বাধা দিতে গেলে সিবিএ নেতা নজরুল ইসলামের সামনে আমাকে জুতা দিয়ে মারতে আসে। বিষয়টি নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রী এবং আমি রঞ্জুর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে রঞ্জু এবং সাথে থাকা ব্যাগিং শাখার অস্থায়ী শ্রমিক মাসুদসহ আমি এবং আমার স্ত্রীকে গাছের বাটাম দিয়ে  মারধর করে।

এদিকে ন্যায় বিচার চেয়ে মারধরের  শিকার হওয়া ভুক্তভাগী মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সিইউএফএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)  বিচার না করে উল্টো চাকরি করতে আমাকে কারখানায় ঢুকতে দিচ্ছে না।

ভুক্তভাগী  ওই শ্রমিক  জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ বিকল ৫টার সময় আমার ওপর হামলা করা হয়। আমি এমডি মহোদয় ও থানায় লিখিত অভিযাগ করছি। এমডি মহোদয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমাকে মারধর করার সময় পাশে ছিল নজরুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক। আমি তাকে বলছিলাম আপনি দেখছেন আমি কোন অন্যায় করেনি আপনি এর প্রতিবাদ করেন নাই কেন।  নজরুল ওই সময় বলেন আমি এগুলোতে  নাই তোমরা তোমরা জান এসব নিয়ে।

এর মধ্যে গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি পারকি সমুদ্র সৈকত ও উপকূলীয় বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসেন। ওই সময় সিইউএফএল বাজার আমি শুভেচ্ছা ব্যানার তুললে নজরুল ওই ঘটনার জের ধরে আমার ওপর ফের হামলা করে। এই  ঘটনায় নজরুল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযাগ দিলে আমাকে কোন কারণ ছাড়াই কারখানায় ঢুকতে দিচ্ছে না। আমি বর্তমান সিইউএফএল ক্যাজুয়াল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও আওয়ামী স্বেছাসেবক লীগের সিইউএফএল শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছি।

এ বিষয় কথা বলতে সিইউএফএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযাগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পরে  উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও এস্টেট শাখা পরিচালক আমিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটা এমনে একটু হাতাহাতি হয়ছে। তেমন কিছু না। এটা থানায় নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কারখানায় ঢুকত না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন এটা হয়তো সাময়িক তাকে একটু চাপে রাখা। এটা ঠিক হয়ে যাবে। মারধরের  বিষয়ে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি।

বিএনএনিউজ২৪ডটকম /এইচমুন্নী 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ