বিএনএ অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানীর হায়াত হোটেলে যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সে সময় আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম, একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সহায়তা, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে তৎকালীন ভারত সরকারের ভূমিকা, স্বাধীনতা পরবর্তী দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচনা, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে পৃথকভাবে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশি ও ভারতীয় শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, ভারতের হাইকমিশনার মনপ্রীত ভোরা (Manpreet Vohra) এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হারিন্দার সিধু বক্তব্য রাখেন। সে সময় রাশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ৩১টি দেশের মিশনপ্রধান, বাংলদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, থিংকট্যাঙ্ক, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয়সহ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা, স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সহায়তা এবং প্রধানমন্ত্রী মুজিব-ইন্দ্রিরা কর্তৃক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের বিষয়কে স্মরণ করেন। ভারত-বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ এবং দুই দেশের সকল ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ভারতের হাইকমিশনার মনপ্রীত ভোরা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে ভারতের জনগণ গর্বিত। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির দিবস ৬ ডিসেম্বরকে মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর মো: তৌহিদুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
