বান্দরবানর : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি আর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হলে একই এলাকায় একটি মসজিদ হয়, আর একটি মসজিদ নির্মাণ করা হলে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করাটা বাধ্যতামূলক কাজে পরিণত হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখা এবং সবাইকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত সময়েও কাজ করেছে, এবারও করছে এবং আগামীতেও সকলের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান সদরে রাজার মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মহতী ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছিলেন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি আর দেশব্যাপী মহাউন্নয়ন বলয় সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৭ কোটি মানুষের শান্তির অন্বেষায় বিরামহীনভাবে এগিয়ে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই আওয়ামী লীগ সরকার সকল ধর্মের সম্প্রীতি অটুট রাখাসহ দেশের মহা উন্নয়নের বলয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন কাজে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতবরাই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে আর সকল ধর্মের উৎসবগুলো যাতে সুন্দর ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্যমন্ত্রী।
তিনি গর্বের সাথে বলেন, পার্বত্য এলাকার নবপ্রজন্ম আধুনিক ও শিক্ষিত জাতির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে এগিয়ে যাবে।
মহতী ধর্মসভায় বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অঞ্জন কান্তি দাশের সভাপতিত্বে বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, পৌরসভার মেয়র সামশুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অমল কান্তি দাশ, বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাশ, বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মহতী ধর্মসভা শেষে বান্দরবানে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত গীতাপাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
বিএনএ,জিএন