বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বুধবার (৫ জুলাই) ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুর আলী মিয়ারহাট সংলগ্ন লাতু চৌধুরীর বাড়ি থেকে তারিন আকতার (২৪) নামে এক সন্তানের জননীর ঝু্লন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শাহেদ আলম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) হাটহাজারী থানায় ৩ জনকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনা অপরাধে ৩০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাত ২টায় মামলার ১নং আসামী নিহতের স্বামী আরকাদুল ইসলাম রুবেল (৩৮) ও দেবর মো. আরফাতকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ আসামী রুবেল ও আরফাতকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে তাদের চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।
আগামী রোববার (৯ জুলাই) তাদের জামিন আবেদন শুনানি হবে।
নিহত ফাহমিদা আক্তার তারিন (২৪) ফটিকছড়ি নাজিরহাট পূর্ব ফরহাদাবাদ তালুকদার বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। গত ২০১৯ সালে আরকাদুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তারিনের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে তারিন আকতার পরিবারের লোকজনের অজান্তে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের ভাই মো. শাহেদ আলম বলেন, বিয়ের পর থেকেই তারিন আকতারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী ও তার পরিবার। শিক্ষিত শান্তশিষ্ট হওয়ায় পিত্রালয়ে জানলেও সে কখনো বিচার করতে দেয়নি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করত। শেষ পর্যন্ত আমার বোনকে তারা মেরেই ফেলল।
তিনি আরও বলেন, চার বছর সংসার জীবনে আমার বোনকে তার স্বামী ভরণপোষণ দিতে পারেনি। আমার বোনের সকল প্রয়োজন মেটাতে হতো আমাদের। এছাড়া ব্যবসার জন্য রুবেলকে গত মাসে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বিয়ের এক বছর পর থেকে সাংসারিক নানা বিষয়ে ভুল ধরে তারিনকে অত্যাচার করতো স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
বিএনএনিউজ/বিএম/হাসনাহেনা