29 C
আবহাওয়া
৬:০৮ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু,  সেই পশু  ডাক্তার গ্রেপ্তার

প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু,  সেই পশু  ডাক্তার গ্রেপ্তার


বিএনএ, নেত্রকোণা : নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় এক হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে সন্তান প্রসব করানোর সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পশু চিকিৎসক আবুল কাশেমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মারা যাওয়া প্রসূতির নাম শরীফা আক্তার (১৯)। তিনি ওই গ্রামের হাইছ উদ্দিনের মেয়ে ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর এলাকায় মহসিন মিয়ার স্ত্রী। তিনি এবার বারহাট্টা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে শরীফা ও তাঁর নবজাতকের দাফন সম্পন্ন হয়।

গ্রেপ্তার আবুল কাশেম বারহাট্টা উপজেলার জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে তাকে নেত্রকোণা আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মারা যাওয়া প্রসূতির স্বামী মহসিন মিয়া বাদী হয়ে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছে।

জানা গেছে, ২০২১ সালে সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার মহসিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শরীফার। গত সপ্তাহে সন্তান প্রসবের জন্য বাবার বাড়ি নেত্রকোণার বারহাট্টার চন্দ্রপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে আসেন তিনি। বুধবার (৪ মে) প্রসব ব্যথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন পশু চিকিৎসক আবুল কাশেমকে খবর দেন। তিনি তাদের বাড়িতে এসে নিজেই শরীফার জরায়ু সামান্য কেটে সন্তান প্রসব করান। একটি ছেলে সন্তানের জন্মও হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই মারা যায় শরীফা ও তার নবজাতক শিশুটি। তখন স্থানীয়রা পশু চিকিৎসক আবুল কাশেমের ওপর চড়াও হলে তিনি কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

পশু চিকিৎসক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমি প্রসূতির সন্তান প্রসব করাতে চাইনি। পরিবারের সদস্যরাই আমাকে জোর করে এই কাজ করিয়েছেন। এপিসিওটমি করার পর ওষুধ ও সেলাই আনতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আনতে দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তপাতে এ ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি জানান, পশু চিকিৎসার পাশাপাশি মানুষের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাঁর এ–সংক্রান্ত সনদ আছে বলে তিনি দাবি করেন।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ