বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে রীতিমতো বিধ্বস্ত ভারত। নতুন করে আবার এক ধাক্কায় সংক্রমণ বেড়েছে দেশটিতে। এতে আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভাবে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। একের পর মৃত্যু অসহায় পরিবারের চিৎকার মেনে নেয়ার মতো নয়। করোনা যেন সবশেষ করে দিচ্ছে। একেকটি ঘটনা হৃদয়ে কাঁপুনি ধরায়।
বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শোক সইতে না পেরে বাবার চিতার আগুনে ঝাঁপ দিলেন ছোট মেয়ে চন্দ্রা শারদা। এতে গুরুতর জখম হয়েছেন ৩৪ বছরের ওই নারী। দমোদরের তিন মেয়ের মধ্যে সবার ছোট চন্দ্রা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, দামোদরদাস শারদা নামে ৭৩ বছরের এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার (৪ মে) হাসপাতালে মারা যান তিনি।
পুলিশের ভাষ্য, দামোদরদাসের শেষকৃত্যের সময় তার তিন মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট চন্দ্রা শারদা আচমকাই চিতায় ঝাঁপ দেন। সেখানে উপস্থিত মানুষ কোনোক্রমে চিতা থেকে নামিয়ে আনেন তাকে। এই ঘটনায় চন্দ্রার শরীরের ৩৪ শতাংশই পুড়ে গেছে। দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রাকে। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য জোধপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাবার শেষকৃত্য যাওয়ার জন্য জেদ ধরেছিলেন তার ছোট মেয়ে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ