বিএনএ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রথম দিনে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নয়াদিল্লির আইটিসি হোটেলের মিটিং রুমে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এস জয়শঙ্কর।
সাক্ষাৎ শেষে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব ড. মাসুম বিন মোমেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি থাকলে দুই দেশের সুবিধার ভিত্তিতে কিভাবে তা আমদানি করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে সমস্যা হবে কি না সেটা নিয়ে আলোচনা করেন তারা। মাসুদ বিন মোমেন জানান, আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেন তারা। পাশাপাশি ভারত, নেপাল এবং ভূটান থেকে কিভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনা যেনে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাক্ষাৎ শেষে দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানো দোয়াও করেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পর আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে নৈশ্যভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামীকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হয়। উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, এ সফরে দুদেশের মধ্যে এমন কিছু পারস্পরিক সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা নীতি নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এ সফরে নদীর পানিবণ্টন ও ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
বিএনএ/এ আর