28 C
আবহাওয়া
৪:৫৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা নেবেন মন্ত্রী-এমপিরা

৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা নেবেন মন্ত্রী-এমপিরা

৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা নেবেন মন্ত্রী-এমপিরা

বিএনএ ডেস্ক:আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি।টিকাদান শুরুর প্রথম দিন সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিবসহ  ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তারা টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে টিকা নেবেন এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

তাদের টিকাদানের জন্য রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি হাসাপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে।রাজধানীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ  গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও প্রথম দিন টিকা নেবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সব মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও করোনর টিকা নেয়ার জন্য মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৯ শ্রেণির করোনার সম্মুখযোদ্ধারা এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষ টিকা নিতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে টিকা শুরুর তারিখ নির্ধারণ হলেও সে অনুপাতে মানুষের মধ্যে এখনো টিকা নিতে অতটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সে কারণে টিকার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করতে এবং টিকার জন্য নিবন্ধন বাড়াতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রথম দিনই টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রথম দিনই টিকা নিলে অন্য শ্রেণির মানুষ টিকা নিতে এবং নিবন্ধন করতে উৎসাহ পাবে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান,মন্ত্রী-এমপিদের টিকা নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়নি।স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নিতে চেয়েছেন। তার সঙ্গে ওই হাসপাতালে টিকা নিতে তিনি অন্য মন্ত্রীদেরও আহ্বান জানিয়েছেন। সেজন্যই ওই হাসপাতালসহ আরও কয়েকটি হাসপাতালে তাদের টিকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এসব হাসপাতালে অগ্রাধিকার ক্যাটাগরির অন্য মানুষও টিকা নিতে পারবেন বলে জানান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন।

আগে প্রথম দফায় ৬০ লাখ মানুষের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এখন প্রথম দফায় ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেবে সরকার। কারণ ইতোমধ্যেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কেনা ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকার মধ্যে ৫০ লাখ টিকা রয়েছে। আর ২০ লাখ টিকা  উপহার হিসেবে দিয়েছে  ভারত সরকার।

গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় দেশে করোনার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হিসেবে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, অর্থনীতিবিদ ও উপাচার্যসহ অন্তত আটজন গুরুত্বপূর্ণ  ব্যক্তি টিকা নেন। এর আগের দিন গণভবন থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সেদিন প্রথম পাঁচজন টিকা নেন।পরে ওই হাসপাতালে আরও ২১ জন টিকা নেন। টিকাগ্রহণকারী কারও মধ্যে এখনো মারাত্মক বা জটিল কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

টিকাগ্রহণকারীরা বলেছেন, তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, ন্যূনতম শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।এমনকি টিকা নেয়ার পর তারা পুনরায় তাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দেশের মানুষকে নির্দ্বিধায় করোনার টিকা নিতে আহ্বান জানান এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ