24 C
আবহাওয়া
৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় জনতার ঢল

পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় জনতার ঢল


বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলে আসতে শুরু করেছে নেতা-কর্মীরা। সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন জেলা, উপজেলার নেতাকর্মীরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করছেন।

প্রায় ১১ বছর পর আজ রোববার পলোগ্রাউন্ড মাঠের এই জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে তার।

রেলওয়ের পলোগ্রাউন্ড মাঠে সকাল ৯টায় বিশাল মিছিল নিয়ে আসেন সন্দ্বীপ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। তিনি বলেন, যাতায়াতে অসুবিধার কারণে সন্দ্বীপের ৬ হাজার নেতাকর্মী সাগরপাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে গতকাল শনিবার বিকেলে। তারা নগরীর হোটেল বা আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে রাতযাপন করে। ফলে সকাল সকাল পলোগ্রাউন্ডে চলে আসে নেতাকর্মীরা।

অবশ্য এর আগে পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী অনুসারীদের মিছিল নিয়ে পলোগ্রান্ডে আসেন বলে জানান সংসদ সদস্য মিতা। সকাল সোয়া ১০টায় মাঠে থাকা পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী মুঠোফানে বলেন, পটিয়া চট্টগ্রাম শহরের খুব কাছে। তাছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উৎসবে পরিণত হয়েছে। ফলে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষেরা সকাল হতে চট্টগ্রামের দিকে রওনা শুরু করে। পটিয়া থেকে অন্তত ২০ হাজারের মানুষ জনসভায় এসেছে। আরো আসার পথে রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের চট্টগ্রাম সফরে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ জন্য সভামঞ্চের পাশে ভিত্তিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে পুরো চট্টগ্রাম।

দেখা গেছে, পৌনে ৫ লাখ বর্গফুটের পলোগ্রাউন্ড ময়দানের শেষপ্রান্তে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের এই মঞ্চে ২০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মঞ্চ থেকে ৩০ মিটার সংরক্ষিত রেখে পশ্চিমে গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের বসার জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পূর্বদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এবং মাঝখানে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

ঢাকার কলরেডি থেকে আনা হয়েছে ৩০০ মাইক। জনসভাস্থল ছাড়াও নিউমার্কেট, সিআরবি, লালখানবাজার মোড়, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ হয়ে কদমতলী পর্যন্ত লাগানো হচ্ছে মাইক। জনসভাস্থলের বাইরে সড়কে লাগানো হচ্ছে বড় পর্দা, যারা ভেতরে ঢুকতে পারবেন না তারা এই পর্দায় দেখবেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য।

শনিবার থেকে পলোগ্রাউন্ড ময়দানের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো জনসভাস্থল এবং এর আশপাশের এলাকা। দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পদবিধারী নেতার বাইরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না সেখানে, ঢুকতে পারেননি গণমাধ্যম কর্মীরাও।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় জানিয়েছেন, সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের মোতায়েন শেষ হয়েছে। এছাড়া এসএসএফ, পিজিএফ, সাদা পোশাকের পুলিশ, ইউনিফর্মের পুলিশ, গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা মিলে পুরো জনসভাস্থল ঘিরে রেখেছে। সেখানে যারা ঢুকবেন তাদের অবশ্যই আর্চওয়ে পার হতে হবে। এরপর তল্লাশি শেষে সবাইকে ঢুকতে দেয়া হবে।

নগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অতিথি, যারা মঞ্চে উঠবেন, তাদের জনসভাস্থলে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য মঞ্চের পেছনে আলাদা গেট করা হয়েছে। মঞ্চের পূর্বদিকে নারীদের জন্য আলাদা গেট আছে। আর মিছিল নিয়ে যারা আসবেন তাদের মূল গেট দিয়ে ঢুকতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১০ বছর ৯ মাস পর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিশাল জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। অবশ্য বছর চারেক আগে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ তিনি পটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ