বিএনএ,চট্টগ্রাম: কিস্তির টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রকাশ্যে এনজিওকর্মী চম্পা চাকমা’র গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যার মামলার একমাত্র আসামী মোঃ এনামুল হক প্রকাশ এনাম (২৭)’কে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ও র্যাব-৯, সিলেট এর যৌথ অভিযানে ৪ এপ্রিল সিলেট হতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার আসামপুর এলাকায় সে আত্মগোপন করেছিল।
নিহত ভিকটিম চম্পা চাকমা (২৮) বেসরকারি মানবিক উন্নয়ন সংস্থা ‘পদক্ষেপ’ এর রাঙ্গুনিয়া ব্রাঞ্চের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আসামী মোঃ এনামুল হক গত ২০ এপ্রিল ২০২২ইং উক্ত এনজিও হতে তার মায়ের নামে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং তার বোনের নামে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা লোন গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে এনামুল তার মায়ের লোনের ৪০ কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করলেও তার বোনের নামে গ্রহণকৃত লোনের ৬টি কিস্তির টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করছিল না যেগুলো প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তারিখে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় চম্পা চাকমা এনামুলকে বারংবার তাগিদ দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
গত ৫ মার্চ ২০২৩ইং রাতে ভিকটিম চম্পা চাকমা এবং তার সহকর্মী একত্রে অফিস হতে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ধামরাইহাট এলাকায় তাদের সাথে এনামুল এর সাথে দেখা হলে তাদের মধ্যে লোনের কিস্তির টাকা পরিশোধ সংক্রান্তে কথা কাটাকাটি হয়। লোনের কিস্তির টাকার জন্য বারংবার তাগিদ দেওয়ায় এনামুল ভিকটিমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে এনামুল তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিম চম্পা চাকমাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভগ্নিপতি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডের এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী এনামুলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল খুন করার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। সে এ কাজের পরিকল্পনায় আগেই চাকু সংগ্রহ করে রাখে। হত্যার পর পাহাড়ি বনে একরাত, রাঙামাটি, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, চকবাজার এলাকা, ঢাকার পোস্তাগালা এবং সর্বশেষ সিলেটের জৈন্তাপুরে দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে হোটেলে কাজ নেয় যেখান হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনএ,জিএন