বিএনএ,নারায়ণগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪-এর নির্বাচন যাতে না হয় সে লক্ষ্যে ২০১৩ থেকেই তারা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে ফেলেছে। মানুষকে হত্যা করেছে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এই জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করাই হলো বিএনপির একমাত্র গুণ।’
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এক নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি ২০ দলীয়ভাবে ও আমরা মহাজোট হয়ে নির্বাচন করি। আমরা ২৩৩ সিটে জয়লাভ করেছিলাম। বিএনপি পায় শুধু ৩০টি সিট। বাকিগুলো জোটের মিত্ররা পেয়েছিল। এ নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা নির্বাচন ঠেকাতে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি। শিক্ষার হার বাড়িয়েছি। বিএনপির আমলে শিক্ষার হার কমেছে আর দারিদ্র্যের হার বেড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশের দায়িত্ব দেন তখন এক টাকাও রিজার্ভ ছিল না। মানুষের ধানের গোলাও ছিল না। পাকিস্তানি আর্মি সব পুড়িয়ে দেয়। শূন্য হাতে বঙ্গবন্ধু দেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করেন। প্রতিটি ঘরে ঘরে তিনি রিলিফ পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ শাসনের সুযোগ পান। এসময় তিনি দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের র্ব্তমান সংসদ সদস্য ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল প্রমুখ ।
বিএনএ/ ওজি
