বিএনএ, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় পরবর্তী জামিন আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২ জানুয়ারি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেছিল আদালত।
উল্লেখ্য, ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চের মুখপাত্র। সমাবেশের পর গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় চিম্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। ওই দিন চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন আসামির ইন্ধনে বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইসকনের (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ শাখাতে ছিলেন। তবে সম্প্রতি ইসকন তাকে বহিষ্কার করে বলে জানানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী