বিএনএ, কক্সবাজার: কক্সবাজারে জেলেদের টানা জালে আটকা পড়ছে হাজার হাজার জেলিফিশ। আটকে পড়া জেলিফিশে সমুদ্র সৈকতের বিস্তৃর্ণ এলাকা ছেয়ে গেছে।শনিবার (৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনি, সুগন্ধা,কলাতলী, দরিয়ানগর ও শৈবাল পয়েন্টে এসব জেলিফিশ ভেসে আসে।
প্রতিবছর সৈকতে জেলিফিশ ভেসে আসলে এ বছর তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ভেসে এসেছে। বছরের শেষের দিকে সৈকতে দফায় দফায় জেলিফিশের দেখা মিলছে।
আজ সকালে জোয়ারের পানিতে জেলিফিশগুলো জেলেদের জালে ও আটকে পড়ে। জেলেরা জাল থেকে এসব জেলিফিশ ফেলে দিলে ভেসে এসেছে সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। এসব জেলিফিশ দেখতে দলে দলে নারী পুরুষ ভীড় করে সৈকতের বিভিন্ন স্থানে।
বীচ কর্মী নাসির ও মুরাদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে টানা জালে আটকে পড়ে মারা যায় জেলিফিশগুলো। টানা জাল থেকে জেলেদের ফেলে দেওয়া মৃত জেলিফিশ ভাসতে ভাসতে সৈকতে চলে আসে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সমুদ্র বিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর জানান, কক্সবাজার সমুদ্রের জেলিফিশের প্রজন্ম বেশি। কিন্তু জেলেদের কাছে এ মাছের কোনো গুরুত্ব না থাকায় মেরে ফেলেন। মরে যাওয়া মাছগুলো কূলে ভেসে আসে। ভেসে আসা জেলিফিশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও জানান, লোবোনিমুইডিস রোবোস্টাস বা স্থানীয় ভাষায় সাদা নুইন্না প্রজাতির এই জেলিফিশের সংস্পর্শে গেলে কোনো ধরণের ক্ষতি হয় না। বরং প্রক্রিয়া করা গেলে খাদ্য হিসেবে বেশ উপযোগী জেলিফিশ। এটি নিয়ে গবেষণা চলছে।
স্থানীয় ভাষায় জেলিফিশকে ‘নুইন্না’ বলে সম্বোধন করা হয়। হাবিবুর রহমান নামের এক জেলে জানান, কক্সবাজারের মানুষ জেলিফিশ খায় না। এগুলো বেচাকেনাও হয় না। ফলে এসব আমাদের কোনো কাজে আসে না। বরং কিছু প্রজাতির জেলিফিশ গায়ে লাগলে মারাত্মকভাবে চুলকায়। তাই এসব জালে আটকা পড়লে আমরা ফেলে দেই।
গেল ৩ ও ৪ আগস্ট ও ১১ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিপুল সংখ্যক জেলিফিশ ভেসে এসেছিল। এসব জেলিফিশের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিওআরআইর) সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।
বিএনএ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি