বিএনএ, সাতকানিয়া( চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেয়ার সময় হঠাৎ ‘অজ্ঞান হয়ে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী। রবিবার (৩ নভেম্বর ২০২৪) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের কেঁওচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে তারা সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কেরানীহাট সদরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টিকার কারণে নয়, অসুস্থ হয়ে পড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ভয় পেয়েছে। কেউ কেউ খালি পেটে ছিল।
জানা গেছে, সকালে বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশের পর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ১২টা নাগাদ এসে কিছু শিক্ষার্থী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাদের জ্ঞান ফেরার বেশ কিছুক্ষণ পর তাদের টিকা দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাদের দেখাদেখি আরো কিছু শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে শিক্ষকরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। এরমধ্যে ১৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, দুজনকে কেরানীহাট সদরের মা ও শিশু হাসপাতাল এবং আশশেফা হাসপাতালে একজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার দাশ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাদের দেখাদেখি আরো কিছু শিক্ষার্থী। মূলত ভয়ে তারা অজ্ঞান পড়েন, আবার কেউ কেউ সকালে খুব অল্প-পরিমাণে নাস্তা করে খালি পেটে ছিল। আমি তাৎক্ষণিক তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, মূলত ভয় পেয়ে স্নায়ুবিক চাপে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
সাতকানিয়া উপজেলা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. হেলাল বলেন, টিকার কারণে এ পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটেনি। আজ কেঁওচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভয় পেয়ে কিছু শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাদের জ্ঞান ফিরেছে। এরপরও তাদের নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছে যাতে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টিকা দেওয়ার পর কিছু শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মূলত একইক্লাসে একজনের দেখাদেখি বাকিরা ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ২৬১টি বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কোথাও হয়নি। ১১ হাজার ৯৮০ জন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে।
আরও পড়ুন :
সাতকানিয়ায় ভোক্তা অধিকার আইনে মোবাইল কোর্ট
এসএমএনকে, এসজিএন/এইচমুন্নী