বিএনএ, ঢাকা: ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই বাংলাদেশিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের একজনের বাড়ি রাজশাহী এবং অন্যজনের বগুড়ায়। এছাড়া অন্তত ১৫ বাংলাদেশি যাত্রীকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ( ৩ জুন) কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ২৮৮ জন। আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটিতে কতজন বাংলাদেশি ছিলেন তার সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ওই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি কারও নিহত হওয়ার খবর এখনও তাদের কাছে নেই। বাংলাদেশ থেকে চারজনের ব্যাপারে তাদের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ওই চারজন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। আমরা চেষ্টা করছি তাদের খোঁজখবর নেয়ার।
উপ-হাইকমশনার জানান, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে।
বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা করান কলকাতায়, অনেকে চলে যান চেন্নাই-বেঙ্গালুরুতে। এ ধরনের বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা সাধারণত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাতায়াত করেন। ফলে ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যেও। অনেকেই নিকটাত্মীয়দের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। তাদের সুবিধার্থে একটি হটলাইনও চালু করেছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস।
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মোট ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষ হওয়া দুই যাত্রীবাহী ট্রেনে মোট কতজন বাংলাদেশি ছিলেন, তা জানা যায়নি।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর ৩টার দিকে হাওড়ার নিকটবর্তী শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উড়িষ্যার বালেশ্বরে পৌঁছায়, আধ ঘণ্টা পর বাহানগা বাজারের কাছে ২৩ কামরার ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
বিএনএ/এমএফ