বিএনএ, ঢাকা: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যয় ৩০১ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির এক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আর্মি ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ বিআরটিসি, বুয়েটকে মেয়াদ ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত বৃদ্ধির জন্য ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৩০১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই ব্যয় বাড়ানোর ফলে এ খাতের মোট ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ২৪২ কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, মেয়াদ বাড়ানোর কারণেই এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু হয়ে যশোর রেলপথে যাতায়াতে রাজধানী থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল রুটটিও। পাথরবিহীন রেললাইন এই প্রথম তৈরি হলো বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানোর পাশাপাশি স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি (সরকারি পর্যায়ে) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে। পরে বাস্তবায়ন মেয়াদের সঙ্গে ব্যয় বেড়েছে।
বিএনএ/এমএফ