বিএনএ ডেস্ক: খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। এর আগে গতকাল বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে খুলনা রেলস্টেশন ছেড়ে আসে।
খুলনা রেলস্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনটি ১৩টি বগি নিয়ে ঢাকায় গেছে। সুন্দরবন ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা ৮৬০টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি বার্থ ৪৮টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি। আর ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৯০৮টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি সিট ৯৬টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি।
খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ার শ্রেণি ৫০০ টাকা, প্রথম সিট শ্রেণির ভাড়া ৬৬৫ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৯৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৮৩০ টাকা, এসি সিট শ্রেণির ভাড়া ৯৯৫ টাকা ও এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ৪৯৫ টাকা। যমুনা সেতু দিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া ছিল ৫০৫ টাকা।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, খুলনা থেকে ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ট্রেনটি। যাত্রাপথে অন্যান্য স্টেশন থেকে আরও যাত্রী উঠবে।
তিনি আরও জানান, খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রুট পরিবর্তন করে কুষ্টিয়ার পোড়াদাহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ভাঙা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে খুলনায় এসে পৌঁছাবে ট্রেনটি। তিনি বলেন, নতুন এই রুটে সময় কম লাগবে অন্তত ২ ঘণ্টা।
এদিকে যমুনা সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটের ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশী খুলনার মানুষ। তবে এখনো অনেক পথ ঘুরে ঢাকায় যেতে হবে। এ ছাড়া দূরত্ব কমলেও ভাড়া না কমানোর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেউই। সরাসরি ট্রেন চালু এবং আগের তুলনায় ভাড়া কমানোর দাবি খুলনাবাসীর।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ