28 C
আবহাওয়া
৭:৩২ অপরাহ্ণ - জুলাই ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দুদকের তদন্তেই সাড়ে ৪ বছর!

দুদকের তদন্তেই সাড়ে ৪ বছর!

দুদকের তদন্তেই সাড়ে ৪ বছর!

বিএনএ, ঢাকা: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর দুদক ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই অভিযোগপত্র জমা দেয় । দুর্নীতিতে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী দুজনেই জামিনে আছেন।

২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসি সুলতানার বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ।

শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।

অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ছাড়া অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌসী সুলতানা গৃহিণী। তাঁর আয়ের কোনো উৎস নেই।

শামসুদ্দোহা খন্দকার ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন। দায়িত্বপালনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুর্নীতির এই মামলাটির অভিযোগ পত্র দায়ের করতে কেন সাড়ে ৪ বছর সময় লেগেছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

বিএনএনিউজ/শামীমা চৌধুরী শাম্মী/ / বিএম/এইচমুন্নী 

Loading


শিরোনাম বিএনএ