বিএনএ,জামালপুর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই; আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগের তিনটি শিল্পবিপ্লবের চেয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্বে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। আমরা এসব প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের অবদান ২০ শতাংশের বেশি নিশ্চিত করতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি জামালপুরে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জামালপুর-০৫ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, এই হাই টেক পার্ক জামালপুরবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার। আমরা আশা করবো খুব দ্রুত এই হাই-টেক পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এখান থেকে এক হাজার তরুণ-তরুণি প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে, ইতোমধ্যে ০৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
‘যেখানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’- বলেন তিনি।
প্রকল্প পরিচালক এ, কে, এ, এম, ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর সদরের মুকন্দবাড়িতে প্রায় ৫.২৩ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভলপমেন্টের প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর প্রমূখ।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এম শাহীন আল আমীন/এনএএম