বিএনএ,নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কর্মীদের বিরুদ্ধে।সোমবার (১ জানুয়ারী)রাত দেড়টায় উপজেলার কায়েত পাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন মেম্বারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন,‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। দেড়টার দিকে বেশ কয়েকজন নারীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে। দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি পুরো এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার কেটলি প্রতীকের ভোট ক্যাম্প পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এ সময় মোশাররফ হোসেনের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে সাধারণ মানুষ।
তিনি আরো বলেন,‘গত ২৯ ডিসেম্বর এই ক্যাম্প স্থাপনে বাধা দেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সন্ত্রাসীরা। বাধা উপেক্ষা করে ক্যাম্প স্থাপন করায় ওইদিন রাতেই তারা ১৯টি চেয়ার নিয়ে যায় এবং গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে ভোট করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে সেখান থেকে ক্যাম্প না সরানোয় গভীর রাতে তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
মোশারফ হোসেনের ছেলে ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোস্তাফিজুর রহমান নীরব বলেন, ‘আমরা রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ভয়ে গেল ছয় মাস ধরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলাম।গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে এলাকায় অবস্থান করছি। কয়েক বছর ধরে আমাদের এলাকার প্রায় ৫০টি বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে রফিকুল ইসলামের সন্ত্রাসীরা। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটের পর সবাইকে এলাকা ছাড়া করা হবে- এই ঘোষণা দিয়ে কয়েকদিন ধরে নির্বাচনী প্রচার মাইকিং করে বেড়াচ্ছে রফিকুল ইসলামের সন্ত্রাসীরা।’
তাঁরা আরও বলেন, তাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কেটলি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে প্রচারণা শুরু করি। এটা সহ্য করতে না পেরে রফিকের সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।নাওড়া গ্রামের ওমর ফারুক, মোহাম্মদ শাহীন, রুবেল হোসেন, কানা মোজাম্মেল, জাহিদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, লিটন হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, অপু, আউয়াল, জসীম উদ্দীন জসু, তরিকুল ইসলাম, এমদাদুল দুলাল এবং মোহাম্মদ রাকিব প্রকাশ্যে এসে আগুন দেয়। আগুন দেওয়া অবস্থায় মনে হচ্ছিল এখনই বুঝি তাঁরা পুরো এলাকায় আক্রমণ শুরু করবে।’
বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ও রূপগঞ্জ থানার ওসিকে জানানো হয়েছে বলে তারা আরও জানান।
বিএনএ নিউজ/রেহানা,ওজি