বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও একজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তার কাছে থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত মোহাম্মদ শামীম এ তথ্য জানান। ডিসি রিফাত জানান, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার আগে আসামি দামালসহ বেশ কয়েকজন কমলাপুর রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে রুপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থায় একটা গোপন বৈঠক করে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে দামাল পরিচিত। টিপু হত্যার আগে যাঁরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, আরফান উল্লাহ দামালের নামে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। আজ আদালতে তুলে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে টিপু হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সূত্র জানায়, আটক দামাল স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। হত্যার আগে দামালসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একাধিক গ্রুপের বৈঠক হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের মূল কিলার মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে রিমান্ডে নেওয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। রিমান্ডে থাকা আকাশের দেওয়া তথ্যে এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও মাস্টারমাইন্ডের নাম পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতি। তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায়। এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিএনএ/এমএফ