37 C
আবহাওয়া
৮:৪০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৫০ বছর আগে দাফন করা মরদেহ অক্ষত!

৫০ বছর আগে দাফন করা মরদেহ অক্ষত!

পটুয়াখালী

বিএনএ ডেস্ক :পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কবর ভেঙে প্রায় অর্ধশত বছর আগে দাফন করা একটি অক্ষত মরদেহ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে মরদেহের ছবিটি।পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূণি এলাকার বড়াগৌরঙ্গ নদী তীরের হাতেম আলী ফকিরের বাড়ির ঘটনা। তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

জানা যায়, গত মঙ্গল ও বুধবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ ও নদী তীরবর্তী এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নদীভাঙনে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূণি এলাকা বড়াগৌরঙ্গ নদী তীরের হাতেম আলী ফকির বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান নদী ভাঙনের কবলে পড়ে।নদী ভাঙনে ওই এলাকার ফকির বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান ভেঙে একটি অক্ষত মরদেহ বেরিয়ে আসে। এ নিয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ একনজর দেখার জন্য শুক্রবার থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন ওই এলাকায়।

হাতেম আলী ফকির বাড়ির রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মরদেহটি তাদের বাড়ির হাশেম ফকিরের। তার দাবি হাশেম ফকির ৪৫ থেকে ৪৬ বছর আগে মারা গিয়েছেন।, হাশেম ফকির তাদের বাড়ির হাতেম আলী ফকির চিশতিয়ার ভক্ত ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই ছিলেন।

অন্যদিকে ওই এলাকার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মো. হাবিবুর রহমান জানান, মরহুম আইন উদ্দিনের ছেলে হাশেম ফকির। হাশেম ফকির সত্তরের বন্যার পর মারা গেছেন। হাশেম ফকিরের বাবা আইন উদ্দিন ফকির সত্তরের বন্যার আগে মারা গেছেন।

হাশেম ফকিরের ছেলে মো. খালেক জানান, মরদেহটি তার বাবার। তিনি ১৯৭৫ সালের দিকে মারা গেছেন।

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন জানান, অক্ষত মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনেছি। ইসলামের দৃষ্টিতে বললে এমন হতে পারে। আবার বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে মাটির কারণেও হতে পারে।

বিএনএ/ ওজি 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ