28 C
আবহাওয়া
৯:৪০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিরসরাইয়ে মসজিদ নিয়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা

মিরসরাইয়ে মসজিদ নিয়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা

মিরসরাইয়ে মসজিদ নিয়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা

মিরসরাই(চট্টগ্রাম) : মিরসরাই উপজেলার ৯ নং সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত কিছমত জাফরাবাদ উজির  আলী কামলা জামে মসজিদ পরিচালনা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন শতবছরের পুরাতন এই মসজিদ নিয়ে বিরোধ মিমাংসায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে  যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, সিএস, আরএস, পিএস, ও  বিএস খতিয়ান ভুক্ত খাস জমিতে নির্মিত মসজিদটি ও সংশ্লিষ্ট সম্পদ একটি পক্ষ ওয়াক্ফ এস্টেট দেখিয়ে মোতোয়াল্লি নিয়োগ করলে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। দুটি পাল্টা কমিটি মসজিদটির নিয়ন্ত্রণে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ নিয়ে দফায় দফায় সামাজিক বৈঠক হলেও কোন ফল মিলে নি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মসজিদ প্রাঙ্গনে  সমঝোতা বৈঠকেও দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি আর মারামারি হয়। কেউ হতাহত না হলেও পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ।

মুসল্লিরা জানান,  খাস  জমির উপর নির্মিত মসজিদের উন্নয়নের লক্ষে এলাকার একাধিক ভূমির মালিকরা বিভিন্ন জমি দান  করেছেন। কেউ মৌখিক ভাবে করেছেন কেউ দালিলিক ভাবে করেছেন। কিন্তু ২০১৭ সালের দিকে এলাকার আজিজুল হক (৫৪) পিতা; মৃত আমিনুল হক, জাকির হোসেন (৫০) পিতা রবিউল হোসেনও নুর সোবহান (৪২) পিতা মৃত নরুল হক সহ কিছু লোক একত্রিত হয়ে মসজিদের কোটি টাকার সম্পদ নিয়ন্ত্রণে নিতে গোপনে ওয়াক্ফ করে আজিজুল হককে মোতোয়াল্লি নিয়োগ করে।

গত বৃহস্পতিবার মসজিদ প্রাঙ্গনে  সমঝোতা বৈঠকে
গত বৃহস্পতিবার মসজিদ প্রাঙ্গনে  সমঝোতা বৈঠকের একাংশ

মসজিদের দান কৃত ৪শতাংশ জমি বিসিক শিল্পনগরীর জন্য সরকার কর্তৃক একোয়ার করা হলে ৩লক্ষ টাকা উত্তোলন, মৃত ছিদ্দিক হাজী কর্তৃক মৌখিক ভাবে মসজিদ কে দান কৃত ৪শতক জমি ৬লক্ষ ৩০হাজার টাকায় কথিত মোতোয়াল্লি আজিজুল হকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন মুসল্লিরা।

মসজিদের আশপাশের প্রায়  শ’ খানেক পরিবারের কাছ থেকে মাসিক ধার্য করে তিনি টাকা আদায় করতেন। মসজিদের প্রায় ১ একর ৬শতাংশ জমি রয়েছে। সেগুলি বর্গা দিয়ে প্রতিবছর আদায়কৃত টাকা মসজিদের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয় না বলেও মুসল্লিরা অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত কথিত মতোয়াল্লি আজিজুল হক জানান, ওয়াক্ফ করা হয়েছে নিয়ম মেনে। বর্তমানে আজিজুল হক মতোয়াল্লি। কিন্তু স্থানিয়  শ খানেক লোক একত্রিত হয়ে তাকে তার কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করছে। এই ব্যাপারে তিনি ওয়াক্ফ এস্টেট ম্যানেজমেন্ট চট্টগ্রাম বরাবরে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু খাস জমি কিভাবে তিনি ওয়াক্ফ করেছেন তার নথি পত্র চাইলে উপস্থিত কোন নথি দেখাতে ব্যর্থ হন।

চট্টগ্রাম ওয়াক্ফ এস্টেট ১নং রিজিওনের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খাস জমি ওয়াক্ফ করার সুযোগ নেই। ওয়াক্ফ করতে হলে নাল জমি লাগবে। আমি চট্টগ্রামে দায়িত্বে এসেছি ৩ বছর হয়েছে। এটি ২০১৭ সালে ওয়াক্ফ হয়েছে। তখন কিভাবে হয়েছে আমার জানা নেই।

আশরাফ উদ্দিন,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ