27 C
আবহাওয়া
৩:১৬ অপরাহ্ণ - মে ৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত

চট্টগ্রামে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত


বিএনএ, চট্টগ্রামম : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন ধরন ‘এক্সবিবি’ শনাক্ত হয়েছে। গত তিন মাসে চট্টগ্রামের ১২ জন রোগীর করোনার নমুনা বিশ্লেষণ করে এই দুই উপধরনে সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

নমুনা বিশ্লেষণবিষয়ক (জিনোম সিকোয়েন্সিং) এ গবেষণা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক। বিশ্লেষণের ফলাফল বুধবার রাতে ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা’ শীর্ষক জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষক দলের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক এস এম রফিকুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক আদনান মান্নান। সহতত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের শিক্ষক ফারজানা শারমিন। গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থী কল্যাণ চাকমা, সাজ্জাদ হোসেন, সবুজ বিশ্বাস প্রমুখ। নমুনা বিশ্লেষণে সহযোগিতা করেন অণুজীব বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল সুইজারল্যান্ডের ফাইন্ড ডায়াগনস্টিক।

আদনান মান্নান বলেন, এ দুই উপধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে উপসর্গ তেমন দেখা যায় না। তবে হালকা জ্বর ও কাশি হয়। মারাত্মক কিছু হওয়ার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ঠিক কত দিনে সেরে ওঠেন, সেই তথ্য নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এক্সবিবি ওমিক্রনের অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি কাজ করে না, এক্সবিবি ওমিক্রনের অন্য ভ্যারিয়ান্টগুলোর তুলনায় অনেক বেশী সংক্রামক। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এন্টিবডি কাজ করে না। এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে আরেকটি করোনার ঢেউ আসতে পারে বলে আশংকা গবেষকসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভারতের জনস্বাস্থ্যবিদ এবং অণুজীববিজ্ঞানীদের।

গবেষণায় দেখা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে বিএ ২ এবং বিএ ৫ এর আধিক্য দেখা গেলেও অক্টোবর মাসে সব রোগীদের মাঝে নতুন ভ্যারিয়ান্ট ‘এক্সবিবি’র আধিক্য ও আরেকটি নতুন ভ্যারিয়ান্ট ‘বিএম ১.১.১’ এর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া ১২ জন রোগীর জিনোম সিকুয়েন্সিং করে দেখা যায় অক্টোবর মাসে ৬০ ভাগ রোগীর মাঝে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন ধরন ‘এক্সবিবি’ এবং ৪০ ভাগ রোগীর মধ্যে আরেকটি নতুন ভ্যারিয়ান্ট ‘বিএম ১.১.১’ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এক্সবিবি’তে আক্রান্ত সবাই তরুণ। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ