27 C
আবহাওয়া
৭:০৮ পূর্বাহ্ণ - মে ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কাঁচা আমের এত গুণ!

কাঁচা আমের এত গুণ!

আম

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ঝড় এলো, এলো ঝড়/আম পড়, আম পড়/কাঁচা আম, ডাঁসা আম/টক টক, মিষ্টি/এই যা, এলো বুঝি বৃষ্টি! ছোটবেলায় এ ছড়াগান গেয়ে আম কুড়াতে মজা ছিল বেশ। তবে এখন শহুরে জীবনে ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ-প্রায় নেই বললেই চলে। তাইতো বাজারই ভরসা। তবে জানেন কি কাঁচা আমে আছে অনেক পুষ্টি।

পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম কাঁচা আমে পটাসিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া রয়েছে ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। এতে আছে ভিটামিন কে, এ, বি৬, ফোলেটসহ প্রচুর পুষ্টি। কাঁচা আমের আরও গুণ ও উপকারিতা জেনে নিন-

কাঁচা আমে কমবে ওজন
যারা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান তাদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।

হৃৎপিণ্ড রাখে সুস্থ
কাঁচা আম ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডও সুস্থ রাখে। কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন ও খনিজগুলো রক্তনালী শিথিল করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া আমে থাকা ম্যাঙ্গিফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী।

রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
কাঁচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপাদান শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

যকৃতের সমস্যা দূর করে
যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম। কয়েক টুকরো কাঁচা আম চিবানো হলে পিত্তরস বৃদ্ধি পায়। এতে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং অন্ত্রের জীবাণু সংক্রমণ দূর হয়।

হজমে সাহায্য করে
অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপকারী কাঁচা আম। এতে অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম থাকায় খাবার খুব ভালোভাবে হজম হয়।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
শরীর সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আমের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এ ছাড়া কাঁচা আম খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
কাঁচা আম খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্যান্য তাজা ফলের তুলনায় কাঁচা আমে প্রচুর প্রাকৃতিক চিনি থাকে না। যে কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন কাঁচা আম।

অম্লতা দূর করতে
বুক জ্বালাপোড়া বা অম্লতার সমস্যায় ভুগছেন যারা, কাঁচা আম তাদের দিতে পারে এ সমস্যা থেকে মুক্তি। অম্লতা কমাতে কাঁচা আমের এক টুকরো মুখে দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খাদ্য হজমে সহায়তা করে কাঁচা আম। অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। টুকরো করে আম কেটে লবণ মাখিয়ে মধুসহযোগে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

চোখ ভালো রাখে
কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এতে থাকা লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনা ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।

শরীরে লবণের ঘাটতি দূর করে
গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বেরিয়ে যায়। কাঁচা আমের জুস শরীরের এ ঘাটতি দূর করে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ