36 C
আবহাওয়া
৮:২৫ অপরাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চসিক নির্বাচন : প্রচারণা তুঙ্গে

চসিক নির্বাচন : প্রচারণা তুঙ্গে

চসিক নির্বাচন

।।মনির ফয়সাল।।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র ৬ দিন। বাকি সময়টুকু ঘিরে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নির্বাচিত হলে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের অঙ্গীকার করছেন প্রার্থীরা। চট্টগ্রামকে স্বচ্ছ ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে নৌকার বিজয়কে নিশ্চিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। অপরদিকে চট্টগ্রামকে একটি হেলদি ও হাইটেক সিটিতে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

চসিক নির্বাচন

চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে কাগজে কলমে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত দুই প্রার্থী। মূলতঃ আওয়ামী লীগের নৌকা এবং বিএনপির ধানের শীষের মধ্যেই নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আগামী ২৫ জানুয়ারি রাত ১২টায় শেষ হবে প্রচার-প্রচারণা।

জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিল এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২২৬ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৭ জন, কাউন্সিলর (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী সংখ্যা ৫৩ জন। মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ প্রতীক)। এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যেই নগরবাসী আগামী পাঁচ বছরের জন্য নগর পিতা নির্বাচন করবেন।

চসিক নির্বাচন

চট্টগ্রামকে একটি স্বচ্ছ ও স্মার্ট সিটি গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে রেজাউল করিম চৌধুরী বিএনএকে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানে চট্টগ্রাম এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। মেয়র নির্বাচিত হলে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। কিশোরদের খেলাধূলা ও বিনোদনের সুযোগ অতিমাত্রায় সংকুচিত হয়ে পড়ায় পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। নারী ও তরুণরা যাতে আউটসোর্সিং এ আরো দক্ষতা অর্জন করতে পারে কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেব।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূরন্ত গতিতে অনেক বড় বড় প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। অবহেলিত চট্টগ্রামকে আধুনিক, নান্দনিক, স্বপ্নীল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার অনেকটাই এগিয়ে গেছে। মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণের শক্তি ও মতামতকে পাথেয় করে চট্টগ্রামকে সত্যিকারের স্বচ্ছ ও স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলব।

অপরদিকে চট্টগ্রামকে একটি হেলদি ও হাইটেক সিটিতে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচিত হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবার মান বাড়িয়ে তা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হবে। প্রাকৃতিক সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে এই চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

তিনি বিএনএকে বলেন, বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামকে ওয়াইফাই নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কোনো প্রকার বাফারিং ছাড়াই ইন্টারনেটের গতি স্পিডে এনে পুরো নগর ওয়াফাই শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। একেকটি এক্সেস পয়েন্টের প্রতিটিতে একসঙ্গে ৫০০ জন যুক্ত থাকার মতো ব্যবস্থা করা হবে। ওয়াইফাই নগরী বাস্তবায়ন হলে একসঙ্গে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড। এতে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের পড়াশুনা চালিয়ে নিতে পারবে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গবেষণা বৃদ্ধি পাবে। নিত্য-নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে চট্টগ্রামবাসী পরিচিত হবে।

ডা. শাহাদাত বলেন, সুষ্টু নির্বাচন হলে, জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে চসিক নির্বাচনে বিএনপিই জয়ী হবে। প্রচার ও জনসংযোগে যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, গত ১২ দিনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীর ৪৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে ইসি আঞ্চলিক কার্যালয়ে। এর মধ্যে ১০ জানুয়ারি ১টি, ১১ জানুয়ারি ৩টি, ১২ জানুয়ারি ৫টি, ১৩ জানুয়ারি ২টি, ১৪ জানুয়ারি ৬টি, ১৫ জানুয়ারি ১টি, ১৬ জানুয়ারি ৬টি, ১৭ জানুয়ারি ৬টি, ১৮ জানুয়ারি ১ টি, ১৯ জানুয়ারি ৪টি অভিযোগ জমা পড়ে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বিএনএকে বলেন, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষ অভিযোগ জমা হয়েছে ৯টি এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে ২টি। বাকি সব অভিযোগ কাউন্সিল প্রার্থীদের পক্ষে। জমা হওয়া ৪৪টি অভিযোগের মধ্যে ১৮টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অন্য যেসব অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত চলছে৷

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন শুরুর দুই দিন আগে থেকে মাঠে থাকবেন।

নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন– ১,২ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা, ৩, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কায়সার, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরা, ৯, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহম্মদ খন্দকার, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারাফ উদ্দিন আহমদ, ১৩, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফেনী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরী, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান, ২১, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলম, ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান, ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দীন খান, ২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী, ২৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইরফানুল হক চৌধুরী, ৩১, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুর রহমান, ৩৩, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তী, ৩৫, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ পাল, ৩৭, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইন, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।

হলফনামায় যার যত সম্পদ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর হাতে নগদ টাকা রয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে নগদ রয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

রেজাউল করিম চৌধুরীর কোনো ধরনের ঋণ নেই। ব্যাংক বা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি কোনো ঋণ গ্রহণ করেননি। শাহাদাত হোসেনের রয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৫ টাকার ঋণ রয়েছে। এসব ঋণের মধ্যে উত্তরা ফিনান্যান্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ৩ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১৩২ টাকা ও ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকার অন্যান্য ঋণ রয়েছে।

২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের কাছে দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।

রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচনী হলফনামায় পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বাৎসরিক আয় হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন: বাড়ি, দোকান ও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ আয় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা, তার উপর নির্ভরশীলদের ব্যবসা বাবদ আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অন্যান্য ফার্মের শেয়ার আয় ২০ হাজার ১০০ টাকা, তার উপর নির্ভরশীলদের আয় ৫০ হাজার ৩০০ টাকা।

রেজাউল করিমের নগদ অর্থের পরিমাণ ১ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ অর্থ রয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৭ লাখ ৮ হাজার ৫৩৯ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৯০ টাকা, স্ত্রীর নামে ২০ হাজার টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ড রয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর রয়েছে ৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি কার, বিবাহ সূত্রে পেয়েছিলেন ২০ তোলা স্বর্ণ যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা এবং স্ত্রী পেয়েছিলেন ৩০ তোলা স্বর্ণ যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা, বিবাহ সূত্রে পাওয়া ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার।

রেজাউল করিম চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজে মূলধন ২ লাখ টাকা এবং ফার্মের মূলধন ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স চৌধুরী ইলেকট্রনিক্সে মূলধন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ফার্মের মূলধন ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা এবং জামানতবিহীন ঋণ হিসেবে প্রদত্ত ৪ লাখ টাকা, তার অকৃষি জমি রয়েছে ২ গন্ড তবে এর মূল্য উল্লেখ করা হয়নি, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির উপর চারটি অ্যাপার্টমেন্ট যার মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ, ১৬ হাজার ৬৬৭ টাকা।

ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনী হলফনামায় বাৎসরিক আয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন: বাড়ি, দোকান ও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ আয় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৫ টাকা, পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা আইন, পরামর্শক) থেকে আয় ১৭ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ১৫ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৭ টাকা।

বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৫০ টাকা, ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা কার, ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ভি-৭৩ মডেলের জিপ, স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ৭৫ হাজার টাকার।

ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ৫০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র রয়েছে ৭৫ হাজার টাকার, ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল ও ট্রিটমেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যবসায়িক মূলধন ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৬০০ টাকা, অকৃষি জমি রয়েছে ১৮ শতক (মূল্য ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা) ও ১.৫ কাঠা (মূল্য ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা), আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন যার মূল্য ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে একটি যার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা।

ডা. শাহাদাত হোসেনের ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৫ টাকার ঋণ রয়েছে। এসব ঋণের মধ্যে উত্তরা ফিনান্যান্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ৩ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১৩২ টাকা ও ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকার অন্যান্য ঋণ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনে সম্পূর্ণ ইভিএমে (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জন ভোটার ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ভোট দেবেন। এর থেকে প্রায় ৩৮ হাজার ভোটার হস্তানান্তারিত ও মারা যাওয়ায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গেছেন। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুসারে এবার সিটি ভোটে পুরুষ ভোটার থাকছেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ জন এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন। মেয়র পদে ভোট হবে দলীয় প্রতীকে, আর কাউন্সিলর পদে ভোট হবে নির্দলীয় প্রতীকে। হালনাগাদের আগের তালিকায় থাকা ভোটারদের মধ্যে বেশ বড় একটা অংশ (ভোটাররা) মাইগ্রেট হয়েছেন (হস্তান্তর)। এছাড়া অনেকে মারা গেছেন। মাইগ্রেট ও মৃতদের বাদ দিয়ে এবং হালনাগাদে নতুন ভোটার ৮৫ হাজার ৮৪ জন অন্তর্ভুক্ত করেই এই চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে।” এরমধ্যে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় (নির্বাচনী থানা) ১৭ হাজার ৭৫৪ জন, চান্দগাঁও থানায় ১১ হাজার ৪৭৬ জন, কোতোয়ালী থানায় ৯ হাজার ৯৬৭ জন, পাহাড়তলী থানায় ১১ হাজার ৯৫৩ জন, ডবলমুরিং থানায় ১৫ হাজার ৮৫৭ জন এবং বন্দর থানা এলাকায় ১৮ হাজার ৭৭ জন নতুন ভোটার হন।

এবার চট্টগ্রাম সিটি ভোটে জয়-পরাজয় নির্ধারণে নতুন ভোটাররা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। নগরীর ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে এক লাখ ২৩ হাজার ৭২৪ জন। আর সর্বনিম্ন ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ২৮৮ জন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সিটি এলাকার ভোটার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার এবং বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হয়। ইভিএমে ভোট হওয়ায় উপস্থিতি বাড়ানোর দিকেও নজর রয়েছে ইসির। আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

বিএনএনিউজ/এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ