বিএনএ ডেস্ক: বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা কথা ছড়ালেও এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থা ডিবির কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে আমরা এখনও কোনো কনক্রিট তথ্য পাইনি। আমাদের কাজ চলছে। আমরা একথা এখনও বলছি না যে, মাদকের কারণে সে খুন হয়েছে বা এক নম্বর আসামি যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে খুন করেছে, এটাও আমরা বলছি না।
শনিবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন এসব কথা বলেন।
গত ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ফারদিনের লাশ ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। ৪ নভেম্বর রাতে রামপুরায় ফারদিন তার বন্ধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরার সাথে ছিলে। পরে তাকে নামিয়ে দেন।
ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা ছেলের খুনের জন্য বুশরাকে আসামি করে মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে এখন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো নতুন তথ্য মিলেছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও কিছু জানায়নি।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, আমরা এটা বলছি না, তার বাবা যার নামে মামলা করেছে, সে এর জন্য দায়ী। যেহেতু মামলায় তার নাম এসেছে, রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আমরা কথা বলছি।
মাদক ইস্যুতে হারুন বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনোই বলি নাই, সে চনপাড়া গিয়ে মাদকের কারণে খুন হয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা এখনও বের করতে পারি নাই।
ফারদিন ৪ নভেম্বর রাতে রামপুরা থেকে সদরঘাটের দিকে গিয়েছিলেন বলে তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারার কথা বলেছিল রামপুরা থানা পুলিশ। তার মোবাইল ফোনের সর্বশেষ অবস্থান ছিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কেরানীগঞ্জে।
তাহলে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ পাওয়াসহ তাকে কোথায়, কীভাবে, কারা হত্যা করেছে, সেই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, “ফারদিন ঢাকার শহরে যেখানে যেখানে গিয়েছে, আমরা টেকনিক্যালি সবকিছু বের করেছি। মোবাইলের লোকেশন বা বিভিন্ন জায়গায় যে কথা বলেছে, সবকিছু মিলে আমার মনে হয়েছে, ঢাকার শহরের কোনো একটা জায়গায় সে খুন হয়েছে।
মাদক কারবারিদের হাতে ফারদিনের খুন হওয়ার বিষয়টি ঠিক কি না-এমন প্রশ্নে হারুন বলেন, ডিবি কাউকে এমন তথ্য দেয়নি। এরকম কোনো কিছু ডিবি থেকে বলা হয়নি। কারণ আমাদের টিম কাজ করছে। জানান, এটা সুরাহা করতে ডিবির বিভিন্ন টিম রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। শিগগিরই আমরা একটা সুরাহা পাব।
বিএনএ/এ আর
