31 C
আবহাওয়া
১১:১৭ অপরাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফেনীতে দুই শিশু হত্যার দায় স্বীকার আজিম-মায়া’র

ফেনীতে দুই শিশু হত্যার দায় স্বীকার আজিম-মায়া’র

ফেনীতে দুই শিশু হত্যার দায় স্বীকার আজিম-মায়া’র

বিএনএ, ফেনী: ফেনীতে বসতঘরে আগুন লেগে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মামলার প্রধান আসামি ছাগলনাইয়া পশ্চিম মধু গ্রামের আবু আহম্মদের ছেলে আবদুল আজিম (৪৫) এবং মধ্যম বিরিঞ্চি এলাকার জয়নালের স্ত্রী মায়া বেগম (৪০)।

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর র‍্যাব-৭’র কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব জানায়, মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে র‍্যাব বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ছাগলনাইয়া পূর্ব মধুগ্রাম এলাকা থেকে আজিমকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, শহরের মধ্যম বিরিঞ্চি এলাকা থেকে আরেক আসামি মায়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার দুইজন মামলার পলাতক আসামিদের সহায়তায় পরস্পরের যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বিরোধের জেরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন দিয়ে দুই শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে নিহতদের বাবা সহিদুল ইসলাম রনি বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বিরিঞ্চি এলাকার রনি ও পলি দম্পতির দুই ছেলে মাইদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩) এবং রাহাদুল ইসলাম গোলাপ (৬) বসতঘরে আগুন লেগে মারা যায়। পূর্ব বিরোধের জেরে দেওয়া আগুনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পরিবার ও স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন: সব পত্রিকায় ছোটদের পাতা থাকা উচিত: তথ্যমন্ত্রী

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রনির বাড়িতে আগুন লাগে। ঘরের দরজা দুই দিক থেকে বন্ধ থাকায় কেউই ঘর থেকে বের হতে পারেনি। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রনির বড় ছেলে মাইদুলের দগ্ধ মরদেহ খাটের ওপরে পাওয়া যায়। আর ছোট ছেলে রাহাদুলকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও মারা যায়। এ ঘটনায় মা পলিও দগ্ধ হয়েছেন।

মৃত দুই শিশুর চাচা কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর ফকির বাড়ির হোনা মিঞা মারা যান। পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি ও আনোয়ার তাদের স্বজনের মরদেহ দাফন করতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। তখন তার পরিবারের আনোয়ার, আজিম, বাদল, রমজান ও জনি আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই বিরোধের জেরেই পেট্রোল ঢেলে ঘরে আগুন লাগিয়ে দুই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ/ এবিএম নিজাম উদ্দিন/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ