36 C
আবহাওয়া
২:০৬ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জাপানি এনসেফালাইটিস রোগের লক্ষণ

জাপানি এনসেফালাইটিস রোগের লক্ষণ


বিএনএ, ঢাকা : জাপানি এনসেফালাইটিস (ইংরেজি: Japanese encephalitis) হল মশার দ্বারা সংক্রামিত একটি প্রাণীজনিত রোগ (Zoonotic disease)। কিউলেক্স মশা এই রোগ ছড়ায়। প্রথমে জাপানে শনাক্ত হয়েছিল বলে এই রোগকে জাপানি এনসেফালাইটিস বলে নামকরণ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে মশাবাহিত এ রোগ। এই পর্যন্ত ৬৪টি জেলার ৩৬টিতে এই রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে।

বাংলাদেশে এই রোগ এখনও খুব আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে না গেলেও মানবদেহে রোগটির প্রভাব মারাত্মক হওয়ায় এখন থেকেই সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আইসিডিআর,বি-এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আক্রান্ত রোগীদের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে রোগটির মৃত্যু হার ৩০%। অর্থাৎ আক্রান্ত ১০০ জনের ৩০ জনই মারা যান।

জাপানিজ এনকেফালাইটিস বাংলাদেশে সর্বপ্রথম শনাক্ত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে, ময়মনসিংহ জেলার একটি গ্রামে।

বর্তমানে দেশব্যাপী ৮২টি সরকারি হাসপাতাল এবং ২১টি বেসরকারি হাসপাতালে জাপানিজ এনকেফালাইটিস রোগী সনাক্তকরণের লক্ষ্যে সার্ভেলেন্স চলমান রয়েছে।

সারা বছরই এ রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় তবে মে মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা সব চাইতে বেশি দেখা যায়।

উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এ রোগের প্রকোপ বেশি।

এনকেফালাইটিস কী ও এর লক্ষণ

জাপানিজ এনকেফালাইটিস হলো মশার মাধ্যমে ছাড়ানো ভাইরাসজনিত রোগ। এটি মূলত কিউলেক্স মশার কামড়ে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।

এই রোগ সর্বপ্রথম জাপানে শনাক্ত হয়েছিল ১৮৭১ সালে। পরবর্তীতে রোগটি এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে, যা প্রায় তিনশ কোটি মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।

বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে এবং দক্ষিণে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

এই রোগের লক্ষণসমূহ ১-৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে৷ রোগটির প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে:

জ্বর ও দুর্বলতা

গায়ে ব্যথা

মাথায় যন্ত্রণা

ঘাড়ের জড়তা বা শক্ত হয়ে যাওয়া

খিঁচুনি

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মানসিক বিভ্রম (ভুল বকা)

দেহের কোনও অংশের অসারতা

কখনও কখনও রোগী কোমা অবস্থাতেও চলে যেতে পারেন৷

শিশুদের মধ্যে পেট ব্যথা এবং বমি হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

সাধারণত মশা কামড় দেয়ার চার থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

আবার অনেকে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কোন উপসর্গ দেখা যায় না।

তবে এই ভাইরাসটি একজন রোগীর থেকে অন্য সুস্থ লোকের শরীরে ছড়ায় না৷ শুধুমাত্র ভাইরাসবাহী মশা কামড়ালেই ছড়াবে।

গবাদি পশুরাও মশার মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব প্রাণীর ক্ষেত্রে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান লক্ষণ হলো- গাভীর সন্তানহীনতা, গর্ভপাত, জ্বর ও আলস্যভাব৷

পশুর মধ্যে এমন লক্ষণ দেখলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ